Calcutta Time : বাংলার দুজন উঠতি enterpreneur এর জার্নিটা খুবই আকর্ষিত। বাংলায় প্রথমবার তারা নিয়ে আসছেন YuvaPlus নামে শিক্ষামূলক অ্যাপ, যেখানে স্কুল শিক্ষা থেকে চাকরির পরিক্ষার প্রস্তুতিতে ছাত্রদের উপযোগী করে তোলা হবে। শিক্ষার সাথে technology এর এক অভূতপূর্ব মেলবন্ধনের মাধ্যমে নতুন generation এর কাছে ঘরে ঘরে শিক্ষা পৌছে দিতে বদ্ধ পরিকর অভিজিৎ অধিকারি ও সব্যসাচী সাহা। পেশায় দুজনই শিক্ষক। তাদের এই উদ্দ্যোগের ব্যপারে জানতে গিয়ে জানা গেল অনেক কিছু।

সব্যসাচী সাহা জানালেন “শূন্য থেকে শুরু- এই প্রবাদ প্রবচনটি আমাদের Yuva Plus-এর জন্য একদম প্রযোজ্য।আক্ষরিক অর্থেই আমাদের শুরুটা এভাবেই।আমরা যে Yuva Plus করব, এমনটা প্রথমে আমাদের মাথাতে একদমই ছিল না।
সালটা ছিল ২০১৭, যখন আমি আর অভিজিত দুজনেই পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতানামা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। তরুণ ব্রিগেড বলা চলে।শাস্তি নাকি আশীর্বাদ আজও আমারা জানিনা, সবাইকে বাদ দিয়ে আমাদের বিহারের পাটনাতে ক্লাস নিতে পাঠানো হয়। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার প্রতিষ্ঠান বা পড়াশুনার কি পরিকাঠাম হয় তা চাক্ষুষ দেখালাম দুজনে।  ক্লাসের পর বাকিরা যখন রুমে ফিরে রেস্ট নিত, আমারা ঘুরে বেরোতাম পাটনা, বোরিং রোড, রাজেন্দ্রনগরের অলিগলি, চাক্ষুষ দেখলাম আনন্দ কুমারকেও। এই রকমই একদিন ঘুরতে ঘুরতে অভিজিত বলে উঠল, ভাই আমরাও নিজেরা নিজেদের প্রতিষ্ঠান করব।  আমি সেইদিন অভিজিতকে কিছু সম্মতি জানাইনি।কিন্তু ওকে যা চিনেছি আমি, জানতাম যখন ওর মাথায় ঢুকেছে তো করেই ছাড়বে।” ওনাকে বাধা দিয়ে অভিজিৎ বাবু জানান” না, সেই দিন সব্যসাচীর মুখে সম্মতি না দিলেও আমি জানতাম ও আমার সাথে থাকবেই।এটাই বরাবর হয়ে এসেছে।আমার মতো ও Aggresive না, কিন্তু আমাকে ধরে রেখে ওই।  যাই হোক আমাদের লড়াই শুরু, চাকুরী ছাড়লাম, নানা রকম কাজ করে Funding জোগাড়, এমনকী অভিজিত Ola Bike ও চালালো কিছুদিন, ২০১৮ থেকে ২০১৯ গড়িয়াতে অফলাইন কোচিং খোলা হল। ভালো চলতেও শুরু করল।কিন্তু ওই আভিজিত, একদিন তার মাথায় এলো যে এই ভাবে সবার কাছে পৌঁছান যাচ্ছে না। আমাদের যে স্টুডেন্টটি বাঁকুড়া থাকে বা আলিপুরদুয়ার সে কোন ভাবেই আমাদের ক্লাস করতে পারছে না। আর ঠিক তখনই Yuva Plus এর জন্ম। ২৫ অগাস্ট ২০১৯ থেকে আমাদের পথ চলা শুরু হুয়া।ধার করা ক্যামেরা, ভাঙ্গা ল্যাপটপ, আর অদ্যম ইচ্ছা। দুজনেই বাড়ী থেকে যথেষ্ট সাপোর্ট পেয়েছি। বর্না-প্রিয়া দুজনের বউরা যথেষ্ট সাপোর্ট করেছে। আমাদের টিম মেম্বারা সবাই সাল্যারি না নিয়েও কাজ করে গিয়েছে। মধুরিমা তার পুরো ক্যারিয়ার Yuva Plusকে দিয়ে দিয়েছে।

এভাবেই বড়দের চোখ রাঙ্গানি খেতে খেতে আমারা এগিয়ে চলেছি। আজ পশ্চিমবঙ্গ-ত্রিপুরা মিলিয়ে মোট ৬০০০০ স্টুডেন্ট আমাদের কাছে পড়ে।”

দেবতনু একজন উঠতি অভিনেতা এত বড় বড় মুখ থাকতে দেবতনুকে কেন বেছে নেওয়া হল? এই প্রসঙ্গে ওনারা জানিয়েছেন ” আমরা আমাদের ব্রান্ড Face এর জন্য এমন কাউকে খুঁজছিলাম, যার সাথে আমাদের এই চলার পথটার মিল থাকে।মানে আমি বলতে চাইছি, এই যে আমাদের সকাল থেকে শুরু যে Struggle, টিকে থাকার যে লড়াই, সেটা যেন তার জীবনে বা তার কাজের ক্ষেত্রেও যেন সে করে যাচ্ছে।তাছাড়াও কম বয়সী এবং নতুনদের মধ্যে ওর ভালো craze আছে, মনের মানুষ হিসেবে ওকে নতুনরা বেশ ভালোবাসে। কোথাও যেন গিয়ে মনে হয়, এই মিলটা থাকলেই ব্যাপারটা বেশ জমে। Brand Ambassador কে দিয়ে শুধু ব্যবসা করাটা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। তাই দেবতনু। লড়ে যাচ্ছে, ছোট-বড় কাজ করে নিজের জায়গাটা শক্ত করার জেদ নিয়ে পরিশ্রম করে চলছে। এটাই তো আমরা Yuva Plus

এ বিষয়ে দেবতনু বক্তব্য পরিস্কার ” শিক্ষার দিকে আবার সবসময়ই ঝোঁক ছিল, আছে আর থাকবে।একজন শিল্পী হিসেবে আমি এমন কোনো কাজ করতে চাইনা যা মানুষের ক্ষতি করে। অভিজিৎ স্যার ও সব্যসাচী স্যার যখন আমার সাথে প্রথম দেখাতে ওনাদের লড়াই, জার্নি এবং মূল লক্ষ্যগুলো জানায়, আমি খুব inspired ইহ, আমার super 30 র আনন্দ স্যারের কথা মনে পরে যায়।আমার মনে হয় আমার সাধ্য মত যদি ওনাদের পাশে যদি আমি দাঁড়াতে পারি, তাই আমার কাছে অনেক।দ্বিতীয়ত, সমাজের কোনো ব্যক্তির মূল crisis হয় স্কুলজীবন থেকে চাকরির পাওয়া অবধি, সেটার solution যদি হয় কোনো app, আমার মনে হয়না এর থেকে ভালো solution আর এই যুগে কিছু হতে পারে।”

Calcutta Time এর পক্ষ থেকে YuvaPlus কে অনেক শুভেচ্ছা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

14 − seven =