পল্লবী ভাওয়াল : ইতিমধ্যে একাদশ এবং দ্বাদশের একক কোনও সেমিস্টারে পাশ ফেল থাকবে না বলে ঘোষণা করেছিল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। জানান হয়েছিল যে, দুটি সেমিস্টার মিলিয়েই প্রস্তুত হবে ফলাফল।
তবে বৃহস্পতিবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব প্রিয়দর্শিনী মল্লিক জানালেন, এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নয়। উচ্চমাধ্যমিক স্তরের সেমিস্টার পদ্ধতিতে মূল্যায়ন ব্যবস্থা নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন ‘দুটি সেমিস্টার মিলিয়ে পাশ-ফেল থাকবে, নাকি একক সেমিস্টারে তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি বিশেষজ্ঞদের মতামত ও আলোচনার ভিত্তিতে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার’।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই একাদশ শ্রেণিতে চালু হয়ে যাচ্ছে সেমিস্টার ব্যবস্থা। এই ছাত্রছাত্রীরাই ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম সেমিস্টার পদ্ধতিতে উচ্চমাধ্যমিক দেবে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার দিন সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, এক সেমিস্টারে শূন্য পাওয়া পরীক্ষার্থী যদি অপর সেমিস্টারে পাশ করার জন্য নির্ধারিত নম্বর পান, তাহলে তাঁকে উত্তীর্ণ হিসেবেই গণ্য করা হবে। মূল্যায়ন পদ্ধতির সেই দিকটিই পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে।
সেমিস্টার ব্যবস্থা নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষাটি এমসিকিউ ও ওএমআর ভিত্তিক হবে। দ্বিতীয়টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলী ও বর্ণনামূলক প্রশ্নভিত্তিক হবে। প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা হবে নভেম্বরে। দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরের বছর মার্চে হওয়ার প্রস্তাব ছিল। দুটি সেমিস্টারের নম্বরের ভিত্তিতেই পরীক্ষার্থী সফল না অসফল তা স্থির হওয়ার কথা।