Calcutta time : সারা দেশে বহু নদী প্রবাহিত হতে থাকে। আর তাদের প্রত্যেকের বয়ে চলার ধরন আলাদা। জানা যায় যে, আমাদের দেশে প্রায় ৪০০-র বেশি নদী প্রবাহিত হয়, কিন্তু এত কিছুর মধ্যে একটি নদী আছে যা বাকিদের চেয়ে সম্পূর্ন আলদা। যার জলের মধ্যে সোনা পাওয়া যায়। জানেন কি সেই নদীটির নাম?
যে জলের মধ্যে সোনা পাওয়া এই নদীর নাম সুবর্নরেখা। শুধু নদীর নামেই সোনা নেই, এখানে জলের মধ্যে প্রচুর সোনা মেলে। স্থানীয় মানুষের আয়ের উৎস এই নদী। ঝাড়খণ্ডের তামর এবং সারান্দাতে মানুষ কয়েক শতাব্দী ধরে নদী থেকে সোনা পরিশ্রুত করেই নিজেদের রোজগার চালিয়ে যাচ্ছেন। এই নদীর উৎপত্তিস্থল ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে। ঝাড়খণ্ড থেকে শুরু হয়ে প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ ও পরে ওড়িশার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সর্বশেষে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়ে।
অনেক বছর পেরিয়ে গেলেও, বিজ্ঞানীরা অনেক পরীক্ষা এবং প্রচেষ্টার পরেও জানতে পারেন নি কেন সুবর্নরেখা নদীর মধ্যে সোনা পাওয়া যায়। ৪৭৪ কিমি লম্বা এই নদীর স্থানীয় নাম ‘করকারি নদী’। তবে বিজ্ঞানীদের ধারনা যে এই নদীর বেশিরভাগ জায়গাই পাথরের ওপর প্রবাহিত হয়, ফলে সেখান থেকেই সোনা আসার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারেননি তারা।
প্রসঙ্গত, জানিয়ে রাখা ভালো এই নদী থেকে সোনার আহরণ খুব সহজ কাজ নয়। সারাদিন পরিশ্রম করতে হয় এর জন্য। সোনা মিললেও পরিমাণ খুব কম হওয়ায় এখানের অধিবাসীদের আয় খুব বেশি হয় না। অনেক খাটনির পর সারা মাসে সর্বোচ্চ ৭০ থেকে ৮০টি সোনার কনা সংগ্রহ করতে সক্ষম হন অধিবাসীরা। এবার সেই এক একটি কনা ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। সেই হিসেবে এই কাজের সাথে যুক্ত কর্মীরা মাস গেলে প্রায় ৮,০০০ টাকা মত রোজগার করতে পারেন।