Calcutta time : অনেকেই আছেন নিয়মিত লঙ্কা খান খাবারের সাথে, আবার অনেকেই আছেন প্রতিনিয়ত লঙ্কা খেতে চান না। তবে জানেন কি নিয়ম মেনে কাঁচা লঙ্কা খেলে শরীরের জন্য অনেক উপকারী, আমাদের শরীরের অধিকাংশ রোগ মুক্ত করে দেবে এই কাঁচা লঙ্কা। দেখে নিন কোন কোন রোগ থেকে আপনি মুক্ত হবেন –
১) ভিটামিনে ভরপুর :
কাঁচালঙ্কায় অনেকটাই ভিটামিন থাকে, যার ফলে হাড়, দাঁত এবং মিউকাস মেমব্রেনকে ভাল রাখতে সাহায্য করে এই কাঁচালঙ্কা। ভিটামিন সি-এর পরিমাণও লঙ্কায় বেশি থাকে। তাই ত্বকের নানা সমস্যা নিরাময় করতে পারে কাঁচালঙ্কা। সহজে মুখে ব্রণ হবে না।
২) অ্যান্টি অক্সিডেন্ট:
কাঁচালঙ্কার মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট পরিপূর্ণ, এই কাঁচালঙ্কা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। যত রকমের সংক্রমণ জাতীয় জ্বর, সর্দি-কাশি থেকে বাঁচায়। লঙ্কার মধ্যে রয়েছে ক্যাপসাইসিন, যা দেহের কোষ নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে।
৩) বিপাকের পরিমান বাড়ায় :
কাঁচালঙ্কা খেলে দেহে এক উষ্ণ গরম তাপ তৈরি হয়। যা বিপাকহারের পরিমাণকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে এবং ক্যালোরি বার্ন করতেও সাহায্য করে কাঁচালঙ্কা।
৪) ব্যথা কমায় : কাঁচালঙ্কার মধ্যে আছে ক্যাপসাইসিন, যা প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে। মাইগ্রেন এবং আর্থ্রাইটিসের ব্যথাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে কাঁচালঙ্কা।
৫) কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ করে :
কাঁচালঙ্কা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে অনেক সাহায্য করে। লঙ্কার বীজ এই কাজে খুবই উপযোগী, তাই উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলে কষ্ট পাওয়া রোগীদের লঙ্কা খাওয়ানো খুব ভাল।
৬) হজমে সাহায্য করে :
কাঁচালঙ্কা কিন্তু আমাদের খাবার হজমে ওষুধের মত কাজ করে। খুব তেল-মশলা রান্নায় গুঁড়ো লঙ্কার পরিমাণ কমিয়ে দেয়। গুঁড়ো লঙ্কা খাবারের রং, স্বাদ বাড়ালেও হজমে সমস্যা করতে পারে। তবে কাঁচালঙ্কার হালকা ঝাল খাবার হজমে সাহায্য করে।
৭) ঠান্ডা নাক ঠিক করতে :
সর্দিতে ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে গেলে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। গরম জলের ভাপ নেওয়ার সময়ে হাতে না থাকলে কাঁচালঙ্কার গন্ধ নিতে পারেন।
