Calcutta time : খাবারে বাড়তি স্বাদ আনতে ক্যাপসিকাম ব্যবহার করা হয়। বাজারে সবুজ, লাল, হলুদ এই তিন রঙের ক্যাপসিকাম পাওয়া যায়। ক্যাপসিকামের নানা উপকারিতা রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম ক্যাপসিকামে ৮৬০ মিলিগ্রাম প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ভিটামিন সি থাকে। এ ছাড়া এতে ভিটামিন বি, ই, কে, থিয়ামিন, ফলিক অ্যাসিড, রাইবোফ্ল্যাভিন ইত্যাদি পাওয়া যায়।
ক্যাপসিকামের উপকারীতা –
১) লাল ক্যাপসিকাম –
লাল ক্যাপসিকামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণও বেশি থাকে। লাল ক্যাপসিকাম খেলে ত্বকের স্বাভাবিকতা বজায় থাকে, চুলের সৌন্দর্য বাড়ে, চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং এতে কোলেস্টেরল কম থাকায় এটি মোটা হওয়ার প্রবণতা কমায়।
২) সবুজ ক্যাপসিকাম –
সবুজ ক্যাপসিকাম একটু অল্প বয়সীদের জন্য উপকারী। এতে ক্যাপসাইসিনস নামক এক ধরনের উপাদান থাকে, যা ডিএনএর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের সংযুক্ত হওয়াতে বাধা দেয়। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। এ ছাড়া এই ক্যাপসিকাম মাইগ্রেন, সাইনাস, সংক্রমণ, দাঁতে ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি ব্যথা দূর করে।
৩) হলুদ ক্যাপসিকাম –
হলুদ ক্যাপসিকামে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ফ্রি রেডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে এবং সেল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া রোধ করে। এই ক্যাপসিকামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার শরীর থেকে টক্সিন বের করে। এ ছাড়া হজমশক্তি বাড়ায়, কোলেস্টেরল কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপ কমায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
৪) চামড়া পরিষ্কার রাখতে ক্যাপসিকাম বেশ উপকারী, এটি চামড়ার র্যাশ হওয়া ও ব্রণ প্রতিরোধ করে।
ক্যাপসিকামের অপকারিতা –
১) বাতের ব্যথা – নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ক্যাপসিকাম থাকলে গিটে ব্যথা , বাতের ব্যথা আরো বাড়বে।
২) ওজন কমায় – ক্যাপসিকাম প্রচুর পরিমানে খেলে শরীরের ওজন কমতে শুরু করে।