Calcutta time : বাংলায় বিজেপিকে হ্যারিকেন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এমনটাই দাবি করছে বিজেপি পার্টি কি বলবেন ?

অভিমুন্য : বিরোধী পার্টি দাবি করতেই পারে বিরোধী পার্টির কাজ বিরোধীতা করা কিন্তু যেই পরিস্থিতিতে আজকে দাঁড়িয়ে আছে সেই পরিস্থিতি তো ভুল কিছু নেই যদি। আপনি যদি অযোগ্য লোকেদের সভাপতি করেন দায়িত্ব দেন, বুথ চালানোর ক্ষমতা দিয়ে রাজ্য চালাতে বসিয়ে দিয়েছে, স্বাভাবিকভাবে বাংলায় প্রশ্ন উঠে গেছে, মানুষ বলছে। কোনো আন্দোলন, গঠনমূলক বিরোধীতা নেই।

সাংবাদিক : বিজেপি কর্মী হয়ে বিজেপির উচ্চ নেতৃত্বের ওপর ক্ষোভ ?

অভিমন্যু : শুনুন, শুভেন্দু অধিকারী বাদে আর কারো কোন হেল দোল নেই। যারা দায়িত্বে বসে আছেন তাদের দায় নিতে হবে। এতগুলো আসন কেন বিজেপি হারল? দায় তাদেরকে নিতেই হবে। এদের দোষ আছে, সংগঠনের দোষ আছে, বাংলায় ভোট করাতে হয়। এরা জানেই না।

সাংবাদিক : কারা জানে না ?

অভিমুন্য : যারা জেলা সভাপতি আছেন, মন্ডল সভাপতি যারা আছেন, রাজনীতিতে অধিকাংশ যারা দায়িত্বে রয়েছে এদের এখন ড্রাইপার করে রাজনীতি করার বয়স।

সাংবাদিক : কি মনে হচ্ছে, ২৬ এ কি বিজেপি আশার আলো দেখবে ? নাকি পুরো শেষ ?

অভিমুন্য : ভারতীয় জনতা পার্টি একসময় সার্বিকভাবে এই দলটার দুটো সংগঠনিক ছিল। আজকে ভারতবর্ষের সর্ববৃহৎ পার্টি কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ২৬ – এ কি হবে সেটা কিন্তু নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় দিকের নির্দেশ মতো।

সাংবাদিক : মহারাষ্ট্রের দিকে বিজেপি ভালো ফল করেছে। তবে বাংলায় কেন পারছে না  ?

অভিমুন্য : মহারাষ্ট্রে লিডারশিপ নেই তাই। আপনি আলু আর আদা কিনতে টাকা দিয়ে পাঠিয়েছেন। সেখানে মটন কিনতে পারবেন ? বাংলায় বিজেপিকে যারা সামলাচ্ছে তারা রাজনীতিকেই বোঝে না। তবে আমাদের বাংলায় শুভেন্দু অধিকারী হচ্ছেন বিজেপির মডেল যেখানে ১৬ টার মধ্যে ১৫ টি আসন তিনি জিতে দেখিয়েছেন। যে কয়েকটি বিরোধী ইস্যু আছে সব কটার কিন্তু একটাই নাম শুভেন্দু অধিকারী। পার্টির উচিত এখনই শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্য সভাপতি ঘোষণা করা ।

সাংবাদিক : তিনি রাজ্য সভাপতি হলে কি হবে  ?

অভিমুন্য : পশ্চিমবঙ্গের আমূল পরিবর্তন ঘটবে।

সাংবাদিক : একা কি করে তিনি সামলাবেন ?

অভিমুন্য : মমতা ব্যানার্জিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গড়ে তুলেছেন এই অধিকারীরা। ২০০৬ ই এর পড়ে সর্বদা তৃণমূলের কাছে কিন্তু ফ্যাক্টর হয়েছে অধিকারীরা, শুভেন্দু অধিকারী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে হারিয়ে দিয়েছে সেই অধিকারী ২০২৬ সালে রাজ্য সভাপতি হলে আমাদের প্রাক্তন সংসদ অর্জুনদা বলেছেন, ‘ মানুষ রিটার্ন গিফট পাবে ‘। কারণ যোগ্য লোককে মানুষ চাইছে যে রাজনীতি করতে পারে লড়াইটাকে বোঝে।

সাংবাদিক : ২০১৯ সালে যে বিজেপির ফল দেখা গিয়েছে, সেখানে বিজেপি নিচে নেমেছে। তখন যারা ছিল তারাই তো এখনো রয়েছেন। যেমন- দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার।

অভিমন্যু : সেটাই তো সমস্যা। ১৯ সালে যে বড় দায়িত্বটা ছিল সেটা নিয়েছিল মুকুল রায়। মুকুল রায় ভালো করে জানত, পশ্চিমবঙ্গে যে ৭৮ হাজার বুথ রয়েছে এই বুথে কাকে দিলে লড়াইটা করা যাবে।২০১৯ -এ মুকুল রায়ের নেতৃত্বে ভোট হয়েছিল। যে মুকুল রায় তৃণমূলে গিয়েছিল তৎকালীন চাণক্য তাকে বলা হত। তার হাত ধরে বিজেপিতে জোয়ার আসা শুরু হয়। যারা দলকে হারাতে পারে তৃণমূলকে জেতাতে পারে। যেমন, খড়্গপুরে ১৬ সালে দিলীপ দা জিতলেন, এমএলএ হলেন, মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী হলেন। এখন সেই লোকটাকে একটিভ থাকতে দিচ্ছে না। যে শুভেন্দু অধিকারী মমতা ব্যানার্জিকে হারাচ্ছে সেই শুভেন্দু অধিকারীকে পার্টি গুরুত্বই দিচ্ছে না। বিরোধী দলনেতার কাজ বিধানসভার অন্দরে গিয়ে দেখা। আর পশ্চিমবঙ্গে যদি তৃণমূলকে হারাতে হয় তাহলে সংগঠনকে হারাতে হবে।

সাংবাদিক : তাহলে কি যারা বিজেপি করছে পিছনে তৃণমূলকে ভোট দিচ্ছে ?

অভিমুন্য : শুনুন, পশ্চিমবঙ্গে ভোট হয় না। পশ্চিমবঙ্গে ভোট করাতে হয় পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে ভোট হয় সেই ফলস ভোট আটকাতে গেলে যারা এলাকা চেনে, বুথ চেনে, রাজনীতিকে চেনে তাদেরকে দায়িত্ব দিতে হবে।

সাংবাদিক : তাহলে কি বিজেপিতে অযোগ্যর ভিড় বেশি ?

অভিমন্যু : দেখুন একটা টোটোওয়ালা বিজেপির দায়িত্বে রয়েছে। লোকটা টোটো নিয়ে যদি না বসে তাহলে তাদের সংসার চলবে না। এবার তারা তো সবসময় চাপে থাকবে। যে আমি যদি এগুলো না করি তৃণমূল আমার রোজগার বন্ধ করে দেবে। তাদেরকে বসিয়ে রেখেছে বিজেপির নেতৃত্ব। যারা লড়াই করতে চেয়েছে তারা নেই। তাই ২৬-শে যদি শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্য সভাপতি না করা হয় কয়েকটা আসন বিজেপি জিতবে। আর সব জায়গায় হারবে।

যে সময় মাদারিহাট রাজ্যে বিজেপির নাম কেউ চিনত না। সেই সময় জিতে গেছিল আর এখন সেই জায়গাতেও আমরা সিট পেলাম না। আরো পর্যালোচনা করতে হবে। যারা দলকে জিতিয়েছিল শঙ্কু পান্ডা, সৌমিত্র খাঁ – এর মত লোক তাদের নেতৃত্বে একসময় দল জিতেছিল। তাদেরকে ব্যাক ডোরে পাঠিয়ে দিল।

আমি ডাইরেক্ট বলছি, যারা বিজেপিকে চালাচ্ছে তারা প্রত্যেকটা লোকই অযোগ্য। এই মুহূর্তে রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারীকে করার দায়িত্ব জানাচ্ছি। আর তা না হলে পশ্চিমবাংলায় হিন্দুদের তৈরি থাকতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় বেলডাঙ্গা হবে তাছাড়া কোন উপায় নেই। ভারতীয় জনতা পার্টি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে শুভেন্দু অধিকারী যদি না থাকে কোন আসনই বিজেপি পাবে না। লড়াই করে একটা দল গড়ে তুলতে হয়। তিলোত্তমার মত একটা ইস্যু কি করল কোন মুভমেন্ট নেই।

সাংবাদিক : তাহলে কি কোন সেটিং আছে  ?

অভিমন্যু : দেখুন মানুষ তো প্রশ্ন করছে। মানুষের সাথে আমিও প্রশ্ন করছি। পশ্চিমবঙ্গে এত নরম পন্থা কেন ?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

twelve − 4 =