অপা-বিতর্কে নাম জড়াতেই সাফ উত্তর সৌগতর, প্রমান করতে পাতলা দল ছাড়বেন তিনি

বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউন আবাসনে নাকি মাঝে মধ্যেই যাতায়াত ছিল সৌগত রায়ের। এমনই দাবি করছে এই আবাসনের সেক্রেটারি অঙ্কিত চুরারিয়া। তবে অঙ্কিতের দাবি, সৌগতর নামে কোনও ফ্ল্যাট নেই আবাসনে। সৌগত কোনো ফ্ল্যাট ভাড়াতেও দেননি।

এদিকে সাংসদ সৌগত রায় দাবি করছেন, বেলঘড়িয়া ওই আবাসনে কামারহাটি পৌরসভার দলীয় অফিস ছিল। তাই ওই বেলঘড়িয়া ফ্ল্যাটে তাঁকে যেতে হত। দিল্লি থেকে এমনটাই দাবি করেছেন সৌগত। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, বুধবার ইডির তরফে তাঁর কাছে কোনো ফোন আসেনি। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে তিনি চেনেন না, জানেন না। তাঁর নাম নিয়ে নোংরামি চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ২৮ কোটি টাকা উদ্ধারের পর সৌগত রায়ের নামটিও উঠে আসে। ওই আবাসনের সেক্রেটারি অঙ্কিত চুরারিয়া দাবি করেছেন, সৌগত রায় ওই আবাসনে আসতেন। তবে তারা আবাসনের মেইনটেনেন্স তালিকা খতিয়ে দেখেছেন, সৌগত রায়ের নামে কোনও ফ্ল্যাট ওই আবাসনে নেই।

delip ghosh 

অন্যদিকে ইডি সূত্রের খবর, আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তৃণমূল সাংসদকেও দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে উঠেপড়ে ওঠেছে বিজেপি। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “এখন অ্যাকশন চাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, তাড়াতাড়ি শুনানি করে সাজা দিয়ে দিন। আগে তো জানা যাক অপরাধ কত বড়। আমি তো টিভিতে বসে দেখছি কোটি কোটি টাকা। সারা দেশের মানুষ দেখছে। যাঁরা পশ্চিমবঙ্গকে বলতেন, বাংলা গরিব হয়ে গিয়েছে, তাঁদের ধারণা পাল্টে দিলেন একা পার্থ বাবু। এক একজন নেতার থেকে যদি এমন জমানো পুঁজি পাওয়া যায়, তাহলে কত টাকা এদিক ওদিক হয়েছে।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

11 + thirteen =