{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"clone":1,"transform":2,"addons":2},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

পল্লবী ভাওয়াল : আপনাদের রাজ্যের প্রসিদ্ধ কালী মন্দিরগুলির মধ্যে এক অন্যতম হল আদ্যাপীঠ মন্দির, দক্ষিণেশ্বর থেকে কিছুক্ষনের পথ দেবী আদ্যার এই পীঠস্থান, মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা হয় রামকৃষ্ণদেবের শিষ্য শ্রী অন্নদা ঠাকুরের হাত ধরে, এই  মন্দির ঘিরে রয়েছে এক রহস্যময় কাহিনী। শুনলে অবাক হবেন আপনিও।

মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা অন্নদাচরণ, এই মঠ প্রায় ২৭ বিঘা জায়গা জুড়ে অবস্থান করে, এই মন্দিরে দেবী আদ্যার মূর্তি ছাড়াও রয়েছে রাধাকৃষ্ণ ও শ্রীরামকৃষ্ণের ধ্যানরত মূর্তি। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা অন্নদাঠাকুর ছিলেন বাংলাদেশের চট্টগ্রামের।

বলা হয়, বাংলাদেশে মা বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বারবার এক সন্ন্যাসীর স্বপ্নাদেশ পান তিনি, চলে আসেন আর্মহাস্ট স্ট্রিটে বন্ধুর বাড়িতে, সেখানেও পান ওই সন্ন্যাসীর স্বপ্নাদেশ, এরপর তিনি স্বপ্নাদেশ পান শ্রীরামকৃষ্ণের, স্বপ্নাদেশে শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁকে ইডেন গার্ডেনসে যেতে বলেন, সেখানে ঝিলের পাশে নারকেল এবং পাকুড় গাছের কাছ থেকে কালীমূর্তি নিয়ে আসতে বলেন, স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী অন্নদাচরণ ওই ঝিলের পাশ থেকে উদ্ধার করেন আদ্যামূর্তি, পরে দেবী আদ্যার স্বপ্নাদেশে বিজয়া দশমীতে মূর্তিটি বিসর্জন দেন মাঝগঙ্গায়, স্বপ্নাদেশ মতই মূর্তিটির ছবি তুলে রেখেছিলেন তিনি। তা থেকেই তৈরি হয়েছে বর্তমান আদ্যামূর্তি, বাংলার ১৩২৫ সালে শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁকে স্বপ্নে সন্ন্যাস দীক্ষাও দেন

এখানে রাধাকৃষ্ণের জন্যও সাড়ে ৩২ কেজি চাল রান্না হয়। দেবী আদ্যার জন্য সাড়ে ২২ কেজি চাল বরাদ্দ রয়েছে। রামকৃষ্ণ পরহংসদেবের ভোগ রান্না হয় সাড়ে ১২ কেজির চাল। সেই ভোগ পঞ্চব্যঞ্জনে নিবেদন করা হয়। এর সঙ্গে পরমান্ন ভোগও থাকে। অন্নদা ঠাকুরের নির্দেশ ছিল, বৃহৎ ভোগ মন্দিরে যাবে না। মন্দিরের পাশে ভোগালয়ে তা সাজিয়ে দেওয়া হবে। সেখানেই নিবেদন করা হবে ভোগ। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন কেবল পরমান্ন ভোগ যাবে দেবীর কাছে। আজও সেই নিয়ম মানা হয় আদ্যাপীঠে, রাতে হয় বিশেষ অমৃতভোগ, যা ঘি এবং উৎকৃষ্ট চাল দিয়ে তৈরি

কথিত আছে, অন্নদা ঠাকুরই ঠিক করে গিয়েছিলেন মন্দিরের আয় থেকে বালকের জন্য ব্রহ্মচর্যাশ্রম, বালিকাদের জন্য তৈরি হবে আর্য নারীর আদর্শ শিক্ষাদান কেন্দ্র, সংক্রামক ব্যাধি নিবারণের চেষ্টা বা হাসপাতাল তৈরি করা হবে। বাংলার ১৩৩৫ সালে অন্নদা ঠাকুর পুরীতে প্রয়াত হন কিন্তু তাঁর ভক্ত ও শিষ্য ও ব্রহ্মচারীরা সেই নির্দেশ মানছেন অক্ষরে অক্ষরে, এখানকার অ্যাম্বুল্যান্সে তৈরি হয়েছে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসালয়, যেহুতু অন্নদাঠাকুর সংক্রামণ ব্যাধির চিকিৎসা করতে বলেছিলেন তাই আদ্যাপীঠের অ্যাম্বুল্যান্সের গায়ে সংক্রামক ব্যাধির জন্য নয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

five + 9 =