প্রীতি কর্মকার : কিশমিশ সাধারণত মিষ্টি জিনিসের স্বাদ বাড়ানোর জন্যই ব্যাবহার করা হয়। কিন্তু জানেন কি , রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে সেই কিশমিশ সকাল বেলা খালি পেটে খেলে কি পরিমান উপকার পাওয়া যায় ?
কিশমিশ তৈরি করা হয় আঙুর ফল কে শুকিয়ে , তাই আঙুরে যেই পরিমান গুনাগুন থাকে ঠিক সেই পরিমাণ গুনাগুনই পাওয়া যায় কিশমিশ থেকেও। কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম , ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কিশমিশ জলে ভিজিয়ে তবেই খাওয়া উচিত।এর ফলে এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই সারারাত জলে ভিজিয়ে রেখে সকাল বেলা খালি পেতে কিশমিশ খাওয়া গুনাগুন জেনে নিন।
১) কিশমিশে প্রায় সব ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে তাই এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে । কেও প্রতিদিন অন্তত ৫ থেকে ৬ টা কিশমিশ খেলে সে ব্যাকটেরিয়াজাত সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকে ।
২) কিশমিশে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যা হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে , ৫ থেকে ৬ টি কিশমিশ সারা রাত জলে ভিজিয়ে রেখে সেই কিশমিশ এবং বাকি জল টা পান করলে হজমের সমস্যা খুব দ্রুত কমে যায়।
৩) কিশমিশ রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে । কিশমিশে উপস্থিত পটাশিয়াম শরীরে লবণের ভারসাম্য রাখে o রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে ।
৪) নানাধরনের ড্রাই ফ্রুট এর মধ্যে কিশমিশ শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং লিভারের সংক্রমণ আটকায় ।
৫) কিশমিশে উপস্থিত অধিক পরিমাণ আয়রন শরীরে লোহিত রক্ত কণিকা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়, যার ফলে রক্তশূন্যতা দুর হয় ।
৬) হাড় মজবুত রাখতে o হাড় এর স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান গুলি রয়েছে কিশমিশে।
৭) কিশমিশে উপস্থিত ফাইবার ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ।
৮) কিশমিশে অ্যান্টি – ব্যাটেরিয়াল গুন রয়েছে যা মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
৯) কিশমিশে রয়েছে প্রাকৃতিক মিষ্টি যা ক্যালোরি বাড়ায় না এবং এটি রক্ত শর্করার মাত্রা কেও নিয়ন্ত্রণে রাখে ফলে ওজন কমাতেও উপযোগী ।
১০) কিশমিশে উপস্থিত ভিটামিন – এ ও বিটা – ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে ।