Calcutta time : “মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে হেফাজতে থাকাকালীন চাপ দেওয়া হয়েছিল। বলেছিল আমার নাম বললেই ছেড়ে দেবে।” আজ অর্থাৎ শহিদ মিনারের মঞ্চ থেকে এমনই দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। এদিন তাঁর অভিযোগ, সারদা থেকে নারদা, সব ক্ষেত্রেই তাঁকে টার্গেট করা হয়েছে।” তিনি হুঙ্কার ছাড়েন, “যদি আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারে, তাহলে শহিদ মিনারেই মৃত্যু বরণ করব।”
এনিয়ে এবার সুর চড়ালেন অভিষেক। তিনি বলেন, “যবে থেকে সারদা হয়েছিল, আক্রমণ ছিল আমার দিকে। এই মদন মিত্র বসে আছেন, কুণাল ঘোষ দীর্ঘদিন হেফাজতে ছিলেন। কী বলেছে জানেন এদের ? বলেছে, অভিষেকের নাম নাও ছেড়ে দেব ! কী বলেছিল না ? সারদা থেকে শুরু করে নারদা, তারপর হল গরু, কয়লা, এসএসসি । সিবিআইয়ের যত তদন্ত চলছে, আমি বুক ঠুকে বলে যাচ্ছি, সবার জন্য আইন আলাদা হলেও, আমার জন্য আইন আলাদা রাখার দরকার নেই।
সবাই যদি দুর্নীতিতে যুক্ত থাকেন, তার বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই লাগিয়ে দেওয়া হোক। আর বর্তমানে যত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে, ইডি হোক বা সিবিআই, আমার যদি কোথাও যোগসাজশ থাকে এবং প্রমাণ করতে পারে যে আমি যুক্ত, আমার পেছনে ইডি-সিবিআই লাগাতে হবে না। সারদা হোক, নারদা হোক, টেট হোক, এসএসসি হোক, কয়লা হোক, গরু হোক, এই শহিদ মিনারের মঞ্চে আমি মৃত্যুবরণ করব ফাঁসর মঞ্চে উঠে। কথা দিয়ে গেলাম। বিজেপির কোনও নেতার হিম্মত আছে ? বলবেন ?”
উল্লেখ্য, নারদা ও সারদাকাণ্ড নিয়ে কম শোরগোল হয়নি রাজ্য রাজনীতিতে। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পর নারদ মামলায় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এরপর প্রত্যেকেই জামিন পান। ২১-এর নভেম্বরে কালীপুজোর দিন মৃত্যু হয় প্রাক্তন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। ২০২২-এর নভেম্বরের পর ফের নারদ মামলার শুনানি ছিল গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারি।