Calcutta time : আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার কলকাতায় আসছেন দ্রৌপদী মুর্মু। এর আগে রাষ্ট্রপতির দরবারে দাবি পেশ করতে রাজ্যজুড়ে গণ ই-মেল কর্মসূচি নিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তাই আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রীকেও গণ-মেল পাঠানো হবে বলে DA-আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন।
এদিকে আবার, বকেয়া DA-র দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ধর্না-অবস্থানে ৫৯ দিনে পড়ল। ২৯ মার্চ শহিদ মিনার চত্বরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে তার দায় পুলিশকে নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন DA-আন্দোলনকারীরা। এই মর্মে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছেও বার্তা পাঠানো হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, বদলি ও বেতনে-কোপ নিয়ে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
উল্লেখ্য, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীরা যখন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তখন আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের অভিযোগ ঘিরে ঘনাচ্ছে বিতর্কের মেঘ। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘটে অংশ নিয়েছিলেন, এমন ৬ জন সরকারি কর্মীকে কলকাতা থেকে জঙ্গলমহলের জেলায় বদলি করা হয়েছে। অন্য দিকে, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণকারীদের তালিকা দিয়ে একদিনের বেতন কাটার নির্দেশ কার্যকর করার কথা জানানো হয়েছে। কর্মীদের তালিকা প্রকাশ করে পাঠানো হল অর্থ দফতরের কাছে।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কলকাতা জেলা কমিটির আহ্বায়ক অর্জুন সেনগুপ্ত বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ করব। সরকার কাটতে পারে না। এটা বেআইনি। আর কাটলে কাটবে।’ তবে এসবের মধ্যেও ডিএ-আন্দোলনকারীরা পিছু হঠতে নারাজ। সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে একের পর এক কর্মসূচি ঘোষণা করছে তারা। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ২৯ মার্চ বিচিত্র গণ অনশনের ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। একইসঙ্গে ধর্মঘটে অংশ নেওয়া ৬ জন সরকারি কর্মীকে কলকাতা থেকে জঙ্গলমহলে বদলির প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। পরের দিন, ৩০ মার্চ রয়েছে মঞ্চের মহা সমাবেশ। সেখানে থাকার জন্য বিরোধীদের আহ্বান জানিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।