Calcutta time : মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। সামনেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর পরীক্ষা মানেই পড়ুয়া, অভিভাবকদের মাথায় চিন্তা ঘোরাঘুরি করবেই। আর বর্তমানে ছোট থেকেই সন্তানদের উপরে পড়াশোনার চাপ, কেরিয়ার তৈরি করার চাপসহ একাধিক চিন্তাভাবনা চাপিয়ে দেওয়া হয়। আর তার থেকেই তাদের মধ্যে ভয় কাজ করতে থাকে।
তাই, এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে পড়ুয়ারা এই ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়লে কিভাবে সেই ভয় দূর করে নিজেকে এবং পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার জন্য এগিয়ে নিয়ে যাবেন, সেই বিষয়ে জেনে নিন।
১) প্রথমেই বোর্ডের পরীক্ষা দেওয়ার আগে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকা জরুরি পরীক্ষার্থীদের। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন রুটিন মেনে চলাটাও জরুরি। স্নান, খাওয়া, ঘুম সময় মতো করতে হবে। তবে ঘুমের সময়ে কমিয়ে দেবেন না। তাহলে পড়ায় মন বসবে না। আর এর মধ্যেও আধ ঘন্টা আড্ডা, বেড়ানো, গান শোনা ইত্যাদির জন্য রেখে দিন। কারণ এগুলি দরকার আছে।
২) অভিভাবকেরা এই সময়ে সন্তানরা কিভাবে পড়াশোনা করবে, তার একটা চার্ট তৈরি করে দিতে পারেন। পড়ুয়ারা যে বিষয়ে দুর্বল, সেগুলো একটু বেশি করে পড়তে হবে। পড়াশোনার নির্দিষ্ট সিলেবাস বা অধ্যায় শেষ করার জন্য একটা সময় নির্ধারণ করে দিতে হবে। সাজেশনের উপর নির্ভর করে পড়াশোনার অভ্যাস ঠিক নয়। তবুও অনেক কঠিন সময়ে সেটা কাজে লাগতে পারে। তার জন্য প্রয়োজন হলে কয়েক বছরের প্রশ্ন থেকে একটা সাজেশন তৈরি করে দিন।
৩) পড়ুয়াদের উপরে এই সময় যেন মানসিক চাপ তৈরি না হয়। সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে খেয়াল রাখতে হবে। মা-বাবারা মাত্রাতিরিক্ত সন্তানের কাছে আশা করেন। আর সেটাই সন্তানের উপরে চাপ তৈরি করে। ফলে একটা জিনিস বুঝতে হবে। সমস্ত শিশুর মেধা এক নয়। তাই মা-বাবারা শুধু টার্গেট ঝুলিয়ে দিলে সন্তানরা সমস্যায় পড়ে যাবে। অন্য কোনো ছেলে মেয়ের সঙ্গে সন্তানের তুলনা করবেন না।
৪) পড়ুয়াদের মধ্যে যেন কোনো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি না হয়। ঝগড়া বিবাদ এর মধ্যে তাদের ডাকবেন না। ঘরোয়া অশান্তিকে পাশ কাটিয়ে যান। আর মনসংযোগ বাড়ানোর জন্য মেডিটেশন, যোগাসন করতে পারেন। খাওয়া-দাওয়ার কয়েকটা নিয়ম মানুন। বেশি চা কফি খাবেন না। কোল্ড ড্রিঙ্ক না খেলে ভালো হয়। দিনে অন্তত সাত আট ক্লাস জল খান।
৫) আর এরপরও যদি দেখা যায় চাপ কমছে না। হাত-পা কাঁপছে, বুক ধড়ফড় করছে, ঘেমে যাওয়ার মতো উপসর্গ তৈরি হচ্ছে। আর তার জন্য যদি পড়াশোনা, স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়, তাহলে দেরি না করে মনোরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজন হলে ওষুধ খেতে হবে। চাপ কাটাতে নেশা করবেন না। তাতে অসুবিধা হবে। উল্টো বিপত্তি হবে। এই সময় সন্তানদের দিকে একটু খেয়াল রাখুন অভিভাবকরা।