Calcutta time : নবম দশমেই ভুয়ো সুপারিশের সংখ্যা জানিয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ১৮৪ জনকে অনৈতিকভাবে নিয়োগের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। সিরিয়াল নম্বর ধরে ধরে রিপোর্ট ফাইল করা হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে। ওদিকে ভুয়ো সুপারিশ বলে যাদের সিরিয়াল নাম্বার উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে থেকে মামলা দায়ের করল ৯ জন। তাদের সুপারিশকে বেআইনি আখ্যা দেওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হল মামলা। সেই মামলায় অংশ নিল ইডিও।
উল্লেখ্য, এখন ভুয়ো সুপারিশ প্রাপ্তদের নিয়োগ বাতিল নিয়ে এদিন আদালতে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশন। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, “আপনারা যদি নিয়োগ বাতিল করতে চান, করুন। কোথায় বাধা?” তারপরই তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘যদি পর্ষদ কিছু করতে না পারে, তাহলে শিক্ষামন্ত্রীকে ডেকে পাঠাতে হবে।’ আদালত এদিন ভুয়ো সুপারিশে নিয়োগ সংক্রান্ত নয়া মামলায় হাইকোর্টের কাছে দ্বারস্থ ৯ জনের আইনজীবীদের নিয়ে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছে। যে বৈঠকে কমিশনের চেয়ারম্যান, তাদের আইনজীবী এবং মামলাকারীর আইনজীবীরা থাকবেন।
অন্যদিকে আবার, প্রাইমারিতে OMR শিট সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন,’নম্বর রদবদল, এটা কার কাজ জানা দরকার, ‘পিসি সরকার জুনিয়র’ নাকি ‘পিসি সরকার সিনিয়র!’ প্রসঙ্গত, প্রাইমারি নিয়োগে OMR শিট মামলায় অভিযোগ, ৪০ জনের নিয়োগে দুর্নীতি আছে। OMR শিটে যে নম্বর, তার থেকে বেশি নম্বর দেখিয়ে সুপারিশ দেওয়া হয়। এই ৪০ জনের মধ্যে ১২ জন এদিন নিজেদের অবস্থান জানাতে এগিয়ে আসে। হলফনামা দিয়ে আদালতে নিজেদের অবস্থান জানায়। ২০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি।