Calcutta time : আদালতে এবার দাবি ইডির। এদিন আদালতে ইডি দাবি করেছে, মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে একটি চিঠি উদ্ধার হয়েছে। যে চিঠিটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ করে লেখা। চিঠিটি হলএকটি অভিযোগপত্র। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে কেউ অভিযোগ করেছেন যে, ৪৪ জনের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ মোট ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ চিঠিতে। চাকরির বিনিময়েই এই টাকা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি ইডির। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই চিঠি মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতে কীভাবে আসল? ইডি সূত্রে খবর, এই চিঠি নিয়ে তৃণমূল বিধায়ককে জেরা করা হলে, তিনি পরস্পরবিরোধী উত্তর দেন। তাঁর কথায় অসঙ্গতি মেলে।
উল্লেখ্য, আদালতে ইডি আরও জানিয়েছে যে, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের নামে একটি কোম্পানির হদিশ মিলেছে। সেই কোম্পানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা পাওয়া গিয়েছে। বেঙ্গল টিচার্চ ট্রেইনিং ইন্সটিটিউশন নামে একটি সংস্থা সেই টাকা পাঠিয়েছিল। পাশাপাশি, মানিক ভট্টাচার্যের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অপরিচিত লোকেদের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টেও উদ্ধার হয়েছে টাকা। একইসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে দুটি ফোল্ডার। যারমধ্যে ৬১ জন প্রার্থীর নাম পাওয়া গিয়েছে। যারমধ্যে ৫৫ জনের কাছ থেকেই টাকা নেওয়া হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। পাশপাশি, মানিক ভট্টাচার্যের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। মনে করা হচ্ছে. এই মোবাইলেই লুকিয়েই প্রাইমারি টেট দুর্নীতির রহস্য! কেন?
কারণ, ইডির নজরে মানিক ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপ। অভিযোগ, মানিক ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপে আসে বিতর্কিত সেই চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা । ‘RK’ নামে সেভ থাকা একটি নম্বর থেকে সেই মেসেজ আসে। যাতে লেখা ছিল, চূড়ান্ত লিস্টে অনুমোদন দিয়েছেন ‘DD’। এখন প্রশ্ন উঠছে, কে এই ‘RK’? কে এই ‘DD’? যার উত্তর জানতে মরিয়া ইডি। সব প্রশ্নের সঠিক উত্তরের খোঁজ পেতে মানিক ভট্টাচার্যকে আরও জেরা করতে চায় ইডি। তাই তাঁর ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন করেছে ইডি। প্রসঙ্গত, তদন্তে অসহযোগিতা করছেন মানিক ভট্টাচার্য, এই মর্মেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি।