Calcutta time : আজ সিবিআই হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার খারিজ জামিনের আবেদন। ২১শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় সিবিআই। সেই আবেদনের উপরই এদিন শুনানি হয়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সবটা জানেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি ‘মাস্টারমাইন্ড’! তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে আরও অনেক সূত্র মিলবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালত সিবিআই-এর সেই দাবিকেই মান্যতা দিল। সিবিআই হেফাজতে পাঠাল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে।
উল্লেখ্য, ২৩শে জুলাই ইডির গ্রেফতারের পর প্রথমে ইডি হেফাজত, তারপর জেল হেফাজত হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এবার আবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ। এদিন আলিপুর আদালতে সশরীরে হাজিরা দেন পার্থ বাবু। শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, ‘২৩শে জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। কিন্তু এতদিনেও চার্জশিট দিতে পারেনি ইডি। এরপরই আচমকা সিবিআই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হেফাজতে চাইছে। এটা চক্রান্ত।’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই হেফাজত হয়েছে।
উল্লেখ্য, এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে আদালতে কেঁদে ভাসান। হাপুস নয়নে কাঁদতে কাঁদতে বলেন ‘মরেই যাব। আমাকে বাঁচতে দিন।’ জামিনের কাতর আর্জি জানান। বলেন, ‘আমি এমবিএ। জনপ্রতিনিধি হিসেবে কলঙ্কহীন কেরিয়ার। আমার কী ভূমিকা? এসএসসি আলাদা সংস্থা। তারা সব্য তথ্য মুছে দিয়েছে। আর এখন আমাকে জেলে রাখতে এজেন্সি চক্রান্ত করছে। আমাকে বাঁচতে দিন।’ প্রকারন্তরে এদিন নিয়োগ দুর্নীতির দায় এসএসসি-র উপরই চাপান প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। ওদিকে এদিন আদালত থেকে বেরনোর সময় পার্থকে দেখামাত্র তাঁকে উদ্দেশ করে ‘চোর, চোর’ স্লোগান ওঠে।