Calcutta time : রুদ্রাক্ষ হিন্দু ধর্মবিশ্বাসীদের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। রুদ্রের অর্থাৎ, শিবের চোখ হিসেবে স্বীকৃত এই বস্তুটি। এর দ্রব্যগুণ হয় প্রচুর। রুদ্রাক্ষ নানা রকমের হয়ে থাকে। প্রত্যেকটিরই আলাদা আলাদা গুরুত্ব। আলাদা আলাদা উপকারিতা। রুদ্রাক্ষ নানা মুখী হয়। এর মধ্যে বারোমুখী রুদ্রাক্ষ খুবই বিশেষ। যিনি বারোমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন তিনি সূর্যের আশীর্বাদ পান বলে বলা হয়।
এই রুদ্রাক্ষ যিনি ধারণ করে তিনি নাম, যশ, খ্যাতি,সাফল্য, সম্পদ, প্রভাব, ক্ষমতা – প্রায় সবই অর্জন করেন। এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে মন সদা উৎফুল্ল থাকে। তিনি খুবই আশাবাদী থাকেন। এই রুদ্রাক্ষ শরীরকে নানা কঠিন ব্যাধি থেকে রক্ষা করে, শরীরে গড়ে তোলে বিশেষ প্রতিরোধশক্তি।
কোন বিশেষ রোগে কার্যকরী এই রুদ্রাক্ষ দেখুন –
১) চোখের সমস্যা উপশম করে, বিশেষ করে ডান চোখের কোনও সমস্যা থাকলে সেক্ষেত্রে বারোমুখী রুদ্রাক্ষ বিশেষ উপকারী।
২) হাড়ের সমস্যা রোধ করে।
৩) মানসিক উত্তেজনা বা উদ্বেগ প্রশমন করে।
৪) হার্টের সমস্যা দূরে রাখে।
কীভাবে ধারণ করবেন রুদ্রাক্ষ?
১) সোমবার সূর্যোদয়ের আগে উঠে গায়ত্রীমন্ত্র উচ্চারণ করতে হবে।
২) লাল সুতোয় ঝোলাতে হবে রুদ্রাক্ষ।
৩) রুদ্রাক্ষকে মুড়তে হবে রুপো বা সোনা।
৪) গলায় ধারণ করতে হবে এই রুদ্রাক্ষ।
সাধারণ মানুষ থেকে আরম্ভ করে রাজনীতিবিদ, প্রশাসক, ব্যবসায়ী সবার জন্য কার্যকরী এই রুদ্রাক্ষ। দ্বাদশমুখী রুদ্রাক্ষ এর ধারককে শক্তি ও সাহস জোগায়, নির্ভীক করে। যে পরিস্থিতিতে মানুষ ভয় পায়, সেই পরিস্থিতিতেই সাহস জোগায় এই রুদ্রাক্ষ।