Calcutta time : বছরের যেকোন সময়েই আমলকি খেতে পারেন। কারণ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে যেমন আমলকি খেলে সুরক্ষা দেয় তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও আমলকি উপকারী। আমলকি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। এতে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত উপকারী খনিজ এবং ভিটামিন রয়েছে এর পুষ্টিগুন আমাদের অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও আমলকি নানাভাবে ডায়েটেও অন্তর্ভুক্ত হয়। এর রস মোরব্বা, আচার বা কাঁচা খেলে শরীরের জন্য অনেক উপকার হয়। আমলকিকে আয়ুর্বেদের উপকারীও বলা হয়।
১) আমলকিতে ভিটামিন সি রয়েছে – আমলকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও আমলকি ঠান্ডা কফ ছাড়াও শরীরে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে দেয় না। আমলকিতে এমন উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সার রোধের বিরুদ্ধেও লড়াই করে।
২) হাঁপানিতে উপকারী – আমলকি হাঁপানির মতো শ্বাসযন্ত্রের রোগ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ নিয়মিত আমলকির রস পান করলে কোলেস্টরেলের মাত্রাও কমে এবং শরীর সুস্থ থাকে। এতে পাওয়া অ্যামিনো এসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর কারণে হৃদপিণ্ড কাজ করে।
৩) লিভারের জন্য উপকারী – লিভারকে রক্ষা করার সব উপাদানই আমলকিতে পাওয়া যায়। এটা শরীর থেকে সমস্ত টক্সেন উপাদান বের করে দেয়।
৪) মুখের ঘা – স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, কাশি ও হাঁচির পাশাপাশি মুখে আলসার ঠেকাতেও আমলকির রস খুবই উপকারী। এটিকে একটি কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে দুই চামচ আমলকির রস প্রতিদিন পান করলে।
৫) দাগ দূর করা – আমলকির রস ত্বকের চিকিৎসার উপকারী। তুলোর পশমে ভিজিয়ে আমলকির রস লাগালে মুখের দাগ দূর হয় এবং মুখে উজ্জ্বলতা আসে।
৬) পুষ্টিকর পানীয় – ভিটামিন সি ছাড়াও ক্যালসিয়াম, ফসফরাস প্রচুর পরিমাণে আমলকিতে পাওয়া যায়। রস করে পান করা যেতেই পারে।




