Calcutta time :  আজ থেকে শুরু ফলহারিণী অমবস্যা, থাকবে আগামীকাল পর্যন্ত। মাকালীর আরাধনায় ব্রতী হন অনেকেই। তবে কেন হয় এই পুজো হয় জানেন? কোন কাহিনী লুকিয়ে রয়েছে পিছনে জেনে নিন।

জানা যায়, শ্রীমা সারদার পুজো করেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ দেব : জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথিতে দেবী কালী পূজিতা হন ‘ফলহারিণী কালী’ নামে। মা তারার বিশেষ রূপ ফলাহারিনী দেবী। এই তিথিতে দেবীর পুজো-আরাধনায় অশুভ কর্মফল নাশ হয় এবং শুভ ফল প্রাপ্ত হয়। বলা হয়, এদিন শ্রীরামকৃষ্ণ শ্রীমা সারদাকে দশ মহাবিদ্যার অন্যতম দেবী ষোড়শী অর্থাৎ এই বিশেষ ফলহারিনি রূপে পুজো করেছিলেন।

পূজার সময় : আগামী ২৯শে মে, ১৪ জ্যৈষ্ঠ, রবিবার শ্রী শ্রী ফলহারিণী কালী পূজা। ফলহারিণী অমাবস্যা থাকবে রবিবার ২:২৫ থেকে সোমবার দুপুর ৩:৪৮ পর্যন্ত। পুরোহিতরা রবিবার সমস্ত উপাচার করার পরামর্শ দিয়েছেন। একই দিনে আবার শনি জয়ন্তী পড়ছে। তাই সন্ধেবেলা কালো তিল আর সরষের তেলে প্রদীপ জ্বালিয়ে শনি মন্দিরে পুজো দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন অনেকেই। মনে করা হয় এতে সাধারণের মঙ্গল সাধন হয়।

পৌরানিক মত অনুযায়ী, যিনি আমাদের সমস্ত খারাপ কর্মফল হরণ করেন এবং মুক্তি দান করেন তিনিই ফলহারিণী কালী। আমাদের সমস্ত বিপদ, দৈন্য, ব্যাধি এবং সমস্ত অশুভ শক্তির বিনাশ করে তিনি ঐশ্বর্য্য, আরোগ্য, বল, পুষ্টি, ও গৌরব প্রদান করেন। বলা হয় তবে জীবকে যা তিনি দেন তা তাদের কর্মফল অনুসারেই দেন। বিশ্বাস, ফলহারিণী কালীপুজো করলে পূজারীর ও ভক্তের কর্ম ও অর্থভাগ্যে উন্নতি ঘটে। সাংসারিক নানান বাধা দূর হয়ে জীবনে সুখশান্তি লাভ হয়।

মনস্কামনা পূরণ করুন : অনেকেই এদিন মনস্কামনা পূর্ণ করতে মা কালীকে ফল নিবেদন করেন। বলা হয়, মানত করা এই ফল ইচ্ছে পূরণ না হওয়া পর্যন্ত খাওয়া নিষেধ। ইচ্ছে পূরণের পর সেই বিশেষ ফলটি গঙ্গায় ভাসিয়ে পুজোর উদযাপনও করার পরামর্শ দেন ব্রাহ্মণরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here