Calcutta time :  ধেয়ে আসছে অশনি। বঙ্গোপসাগরের উপরে ইতিমধ্যেই ঘনীভূত হয়েছে অতি গভীর নিম্নচাপ। আজ অর্থাৎ রবিবার সকাল বা বিকেলের মধ্যেই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। অশনি নামক এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সপ্তাহের শুরু থেকেই উদ্বেগ থাকলেও, শনিবারই স্বস্তির খবর দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উপরে যে ঘূর্ণাবর্তটি তৈরি হয়েছে, তা সরাসরি ওড়িশা বা অন্ধ্র প্রদেশে আছড়ে পড়বে না। বরং দুই উপকূলের গা ছুঁয়ে সমান্তরালভাবে বেরিয়ে যাবে।

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুজ্ঞয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, ঘূর্ণাবর্তটি ইতিমধ্যেই শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। রবিবার তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। উত্তর ওড়িশা-অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলের কাছে ল্যান্ডফল করার পর ঘূর্ণিঝড়টি বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে অতিক্রম করবে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নচাপটি সাগর থেকে উত্তর পশ্চিম অভিমুখে উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়েছে। ১০ মে বিকেল অবধি সেই পথেই এগোবে, এরপর উত্তর বা উত্তর-পূর্ব অভিমুখে এগোতে শুরু করবে।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার বিকেলের মধ্যে শক্তি বাড়িয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে অশনি। আগামী ১০ই মে অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলের কাছে পৌঁছবে ঘূর্ণিঝড়টি, সেখান থেকে দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের দিকে বাঁক নেওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর তা ধীরে ধীরে এগোতে পারে বাংলাদেশের দিকে। ঘূর্ণিঝড়ের বাঁক নেওয়ার পরই শক্তিক্ষয় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ তেমন ঝড়ের দাপট বোঝা না গেলেও ৯ই মে থেকে ওড়িশার সমুদ্র উত্তাল হতে শুরু করবে। ১০ই মে তা আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধরবে। এই সময়ে বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টা ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার থাকবে। আজ ওড়িশার উপকূলে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে।

নিম্নচাপের প্রভাবে আজ বিকেল থেকে ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে যেমন গঞ্জাম, গজপতি, খুরদা, জগৎসিংপুর ও পুরীতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। ১০ই মের পর থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে গঞ্জাম, কটক, পুরী, জগৎসিংপুর সহ একাধিক জায়গায়। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতায় আগামী ১১ই মে অবধি মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here