Calcutta time : মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার বিশ্ব অ্যাস্থমা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদী রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য এই দিবসটি উদযাপন করা হয়। হাঁপানির রোগীদের সাধারণত স্বাভাবিকের তুলনায় সরু শ্বাসনালী থাকে, যেটি ফুলে হিয়ে মিউকাস তৈরি করে। তা থেকেই শুরু হয় শ্বাসকষ্ট, কাশি ও গলায় অসহ্য ব্য়থা। এই সমস্যার কারণে দৈনন্দিন কাজকর্ম, হাঁটা, দৌড়ানো, বাড়ির কাজকর্ম থেকে শুরু করে অতিসাধারণ কাজেও তার প্রভাব পড়ে। হাঁপানি একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ যার মূল লক্ষণ হল শ্বাসকষ্ট। হাঁপানির পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব নয়, কিন্তু যথাযথ পরিচালনায় এই রোগটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। উন্নত মানের সুস্থ জীবনযাপনের জন্য সঠিক পরিচালনার প্রয়োজন।
হাঁপানি কী কী কারণে হতে পারে –
ওষুধের প্রভাবে
অ্যালার্জেনের কারণে
নির্দিষ্ট বায়ুবাহিত রোগের প্রভাবে
মানসিক চাপ।
শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে
হাঁপানির ওষুধ সাধারণত ইনহেলারের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিষেধক বা আরোগ্য-সহায়ক হিসেবে ইনহেলার ব্যবহৃত হয়। হাঁপানির ক্ষেত্রে প্রশ্বাসের মধ্যে দিয়ে ওষুধ গ্রহন যথেষ্ট কার্যকরী, যেহেতু এটি সরাসরি ফুসফুসে গিয়ে পৌঁছোয় ও খুব সামান্যই শরীরের অন্যত্র গিয়ে মেশে। এই রোগ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত হলেও বর্তমানে মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলে অনেকের মধ্যেই বাড়ছে হাঁপানির সমস্যা।
শ্বাসযন্ত্রের সুস্থতার জন্য প্রতিদিন ১০ থেকে ৩০ সেকেন্ড হাঁপানির উপসর্গ থেকে মুক্তি পেতে সেরা যোগাসনগুলি করুন। সেই যোগাসনগুলি কী কী , সেগুলি জেনে নিন –
১) উস্ট্রাসন বা উটের ভঙ্গিতে যোগাসন – এই কৌশলটি শরীরকে সর্বাধিক পরিমাণে প্রসারিত করতে সাহায্য করে। পেট, কুণচকি, বুক, গোড়ালি, উরু ও গলা। সামগ্রির সুস্থতার দন্য পিছনের পেশিগুলিকে শক্তিশালী করে তোলে।
২) চক্রাসন বা হুইল পোজ- এই পোজটি পেটের অংশের চর্বিকে বার্ন করে ও মেরুদণ্ডের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করে। অন্তঃস্রাবী গ্রন্থিগুলিকে উদ্দীপিত করার জন্য পিছনে, হাত পা ও পেশিগুলিকে শক্তিশালী করে তোলে।
৩) বজ্রাসন- এই গুরুত্বপূর্ণ যোগাসনটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে কাফ পেশিগুলিকে সচল রাখতে সাহায্য করে। ধ্যানের জন্য এটি একটি দারুণ আসন। বজ্রাসনের পোজ হাঁটু, গোড়ালি ও পা-কেও শক্তিশালী করে তোলে।
৪) পশ্চিমোত্তনাসন- পেটের চর্বিকে নির্মূল করতে এই আসনের উপকারিতা অনেক। মেরুদণ্ডকে শক্তিশালী করতে , মনকে শান্ত রাখতে।




