কোয়েল বিশ্বাস : কেক এখন সব অনুষ্ঠানেই ব্যবহার করা হয়, ছোট থেকে বড়ো সব অনুষ্ঠানে এখন কেক ছাড়া চলে না।  সাধারনত আমরা সবাই কম বেশি পেস্ট্রি হাউস থেকেই কিনে থাকি। তবে আমরা চাইলেই এই কেক বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারি‌। আরো একটা দুধ -ডিম অর্থাৎ , কেকের এই দুটি মূল উপকরণ ছাড়াও খুব সহজেই কেক বানানো যায়‌। একে বলে গ্লুটেন ফ্রী কেক। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এই কেক বানানো যায় :

উপকরণ :

১.  চিনি গুঁড়ো ১কাপ

২. কোকো পাউডার

৩. পিনাট বাটার ১/৩ কাপ

৪. বেকিং সোডা ছোট চামচের হাফ চা চামচ

৫. কলা ২টি

পদ্ধতি :

১. প্রথমে একটি বাটিতে কলা ভাল করে চটকে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এর সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন পিনাট বাটার। এর পর কলা ও বাংকারের মিশ্রনে দিয়ে দিন চিনির গুড়ো।

২. আবারও ভাল করে মিশ্রনটি মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন এই মিশ্রণটি ভেতরে যেন কোনোও দলা না পেকে থাকে। ছাকনির সাহায্যে ছাকনির সাহায্য ছেঁকে কোকো পাউডার মিশিয়ে নিন।

৩. এরপর বেকিং সোডাও মিশিয়ে দিন মিশ্রনে । সব উপকরণ ভাল করে মেশানো হলে একটি ছোট কেক তৈরির টিনে সামান্য তেল ব্রাশ করে নিন। তারপর এই মোল্ডে ঢেলে দিতে হবে কেকের মিশ্রনটি‌।

৪. এরপর আগে ওভেন ফ্রী হিট দিয়ে নিন। তারপর ১০-১২মিনিট ধরে ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে বেক করুন দুধ-ডিম ছাড়া কেক। নির্দিষ্ট সময় পর বের করে নিন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল গ্লুটেন ফ্রী কেক।

প্রাথমিক উপকারিতা হিসেবে গ্লুটেন ফ্রী কেক এ যে কোনোও ল্যক্টোজ ইন্টলারেন্ট ব্যক্তি এটি খেতে পারেন। স্বাস্থ্যকর হওয়ার পাশাপাশি এটি সুস্বাদুও। পিনাট বাটার থাকার কারনে এই কেক কে ডায়েটেও ব্যবহার করা যায়। অনেকেরই কেটে অ্যসিডিটির সমস্যা থাকে, এই কেক সেই সমস্যা সম্ভবনা বেশি নেই। এই কারনেই, এই কেক বাড়িতে তৈরি করে অনেক দিন পর্যন্ত  সংরক্ষনও করা যেতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here