বিনীতা দাস : শিশু থেকে প্রবীণ, সকলের কাছেই চকোলেটের দারুণ কদর রয়েছে। সাধারণত চকোলেটপ্রেমীদের কাছে এই তথ্য অত্যন্ত আনন্দদায়ক। সুস্থ থাকতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন এক কামড় করে চকোলেট খান, কারণ চকোলেট শরীরের ক্ষতি করে না বরং অন্যান্য রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডায়েট মেনে চলার সঙ্গে প্রায় অনেকেই চকোলেট এড়িয়ে চলেন। আবার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই চকোলেটই কিন্তু স্বাভাবিকভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
 তৈলাক্ত, নোনতা এবং মশলাদার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে চকোলেট অত্যন্ত কার্যকর উপাদান। যদি কয়েক কেজি ওজন কমানোর পরিকল্পনা করেন, তাহলে ডায়েটে ডার্ক চকোলেট অবশ্যই রাখবেন।
তৈলাক্ত, নোনতা এবং মশলাদার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে চকোলেট অত্যন্ত কার্যকর উপাদান। যদি কয়েক কেজি ওজন কমানোর পরিকল্পনা করেন, তাহলে ডায়েটে ডার্ক চকোলেট অবশ্যই রাখবেন।
প্রতিদিন এক টুকরো চকোলেট হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে। বি.এম.জে. (ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল)-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে জানা গেছে যে পরিমিত পরিমাণে খাঁটি ডার্ক চকোলেট হৃদরোগের ঝুঁকি এক তৃতীয়াংশ কমাতে সাহায্য করে। কারণ, চকোলেটে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের উন্নতিতে এবং সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
মানসিক চাপ, উদ্বেগ কমাতে চকোলেট দারুণ কার্যকরী। এটা সব চিকিত্সকরাই কিন্তু এককথায় স্বীকার করে থাকেন। ডার্ক চকলেট খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কে ডোপামিন নামে পরিচিত একটি সুখী হরমোন নিঃসৃত হয়, যা স্বাভাবিকভাবে মস্তিষ্কের রিওয়ার্ড মেশিনেজম হিসেবে কাজ করে, তাতে মেজাজ বেশ ফুরফুরে থাকে।
আবার একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, যদি কেউ অনেকদিন ধরে দুশ্চিন্তা এবং স্ট্রেসের সঙ্গে মোকাবিলা করেন তবে ওই ব্যক্তিকে এক আউন্স ডার্ক চকলেট খেতে দেওয়া হয়। রেজাল্ট হিসেবে দেখা যায়, ওই ব্যক্তির স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে।
এছাড়াও প্রতিদিন চকোলেট খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে, কারণ চকোলেটের প্রধান উপাদান কোকোতে পেন্টামেরিক প্রোসায়ানিডিন বা পেন্টামার নামে পরিচিত একটি যৌগ রয়েছে যা, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
কোকোতে উপস্থিত ফ্ল্যাভানোল মস্তিষ্কের মূল অংশে ২-৩ ঘণ্টার জন্য রক্ত প্রবাহ বাড়ায়। যা মানসিক চাপ কমাতে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নতিতে অত্যন্ত সহায়ক।
 
			