বিনিতা দাস : বীর চিলা রায়ের ৫১২ তম জন্ম জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগদান করে একগুচ্ছ ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বীর চিলা রায়কে সম্মান জানিয়ে তাঁর ১৫ ফুট উচ্চতার একটি মূর্তি তৈরি করবে রাজ্য সরকার। রাজ্য পুলিশে নারায়ণী সেনাদের নিয়োগ করা হবে। হোমগার্ড, সিভিক ভলেন্টিয়র পদে নিয়োগ করা হবে। এতে প্রায় ৭০০-৮০০ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে।”
বুধবার কোচবিহার ২ ব্লকের সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় বীর চিলা রায়ের জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল দি গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। অনন্ত মহারাজের আমন্ত্রণে ওই সভায় উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারের মানুষের আবেগকে সম্মান জানিয়ে ‘জয় শিবচণ্ডি, জয় বাংলা’ স্লোগানও দেন তিনি।
বীর চিলা রায়কে সম্মান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গেরিলা কায়দায় লড়াই করতেন বীর চিলা রায়। ছত্রপতি শিবাজির মতো চিলা রায়ও সম্মানিত। আমরা চাই বীর চিলা রায়ের বীরত্ব সমগ্র ভারত জানুক| ইতিমধ্যে রাজ্য পুলিশে নারায়ণী সেনা ব্যাটেলিয়ন তৈরি হয়েছে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও ঘোষণা করেন, “মহাবীর চিলা রায়ের জন্য আরও কিছু করতে চায় রাজ্য সরকার। ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয় করে চিলা রায়ের ১৫ ফুট উচু মূর্তি তৈরি করবে রাজ্য সরকার। অনন্ত মহারাজের অনুরোধে মাত্র দশ দিনে ৩৭ লক্ষ টাকা ব্যয় করে মহাবীর চিলা রায় রোড তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। এমনকি কোচবিহার ২ ব্লকে একটি কমিউনিটি হলও তৈরি হবে এবং যার নাম হবে মহাবীর চিলা রায় কমিউনিটি হল। এতে খরচ পড়বে ৩৫ লক্ষ টাকা।” সভামঞ্চে উপস্থিত অনন্ত মহারাজকে তিনি বলেন, “আপনারা চাইলে রাজ্য পুলিসে নারায়ণী সেনাকে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। হোমগার্ড, সিভিক ভলেন্টিয়র পদে নিয়োগ করা যেতে পারে। এতে একসঙ্গে ৭০০-৮০০ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে। তাঁরা সামাজিক কর্মসূচি, সাংস্কৃতিক কর্মসূচি পালন করবে।” এমনটাই ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
এরপর কামতাপরী এবং রাজবংশী ভাষাভাষির মানুষদের জন্যও বহু ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “৩০০ কোটি টাকা ব্যয় করে হেরিটেজ টাউন তৈরি করা হচ্ছে কোচবিহারকে। রাজবংশী মানুষদের জন্য ২৭ একর জমিতে ‘ঠাকুর পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়’ তৈরি হয়েছে। তাঁর জন্মদিনে রাজ্য সরকার ছুটিও দেয়। ১৭ একর জমিতে ‘পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে’র দ্বিতীয় ক্যাম্পাস হবে। মূল ক্যাম্পাসের নাম হবে “পঞ্চানন নগর”। ৫ কোটি টাকা ব্যয় করে রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি তৈরি হয়েছে এবং ৫ কোটি টাকা ব্যয় করে কামাতাপুরী ভাষা অ্যাকাডেমিও তৈরি হয়েয়ে, ২০০টি রাজবংশী স্কুল তৈরি হচ্ছে।”