Calcutta time : বর্তমানে নৈহাটির বড় মা বিখ্যাত রাজ্য তথা দেশজুড়ে, ২১ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ঘন কৃষ্ণবর্ণ প্রতিমা স্বর্ণলঙ্কারে ভূষিতা, বড় মা পুজোর মূলমন্ত্র হল ধর্ম হোক যার যার, বড় মা সবার, যে যার আশা বিশ্বাস নিয়ে বড়মার কাছে আসে পূজা দিতে। মায়ের ভক্তরা মানত করেন ও দন্ডি কাটেন, মনের ইচ্ছা পূরন হলেই ভক্তরা আবার মাকে অলঙ্কার গড়িয়ে দেন
উল্লেখ্য, ৯৪ বছর আগে ভবেশ চৌধুরী এবং তার সঙ্গীরা নবদ্বীপ গিয়েছিলেন রাস উৎসব এর দর্শন করতে, সেই স্থানে গিয়ে তিনি রাধাগোবিন্দর বিশাল মূর্তি দেখে তাঁর ও মনের ইচ্ছে জাগে সেও ও একটি বড় কালী মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পুজো করবেন
এরপর নৈহাটি ফিরে এসে তিনি ২১ ফুট -এর বড় কালী মূর্তি বানিয়ে পুজো শুরু করেন, মায়ের মূর্তি বিরাট উচ্চতার জন্যেই “বড়মা” হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে, কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিন কাঠামো পুজো করা হয়, দেবীকে সাজানো হয় ২০০ ভরী রূপো ও ১০০ ভরী সোনায়
এবার করোনা আবহের মধ্যেও প্রাচীন রীতি মেনে কোজাগরী পূর্ণিমায় নৈহাটির ঐতিহ্যবাহী বড়মা পুজোর কাঠামো পুজো করা হয়, ৯৪ তম বর্ষে পড়ল নৈহাটির অরবিন্দ রোডের ধর্মশালা মোড়ের বড় কালীর পুজো
শুধু তাই নয় প্রতিমা বিসর্জনও হয় অভিনব ভাবে, সমস্ত গয়না খুলে নিয়ে ফুলের গয়না দিয়ে সাজানো হয় মাকে, ট্রলি করেই মাকে গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়