যত সময় গড়াচ্ছে ততই গোটা দুনিয়া জুড়ে দীর্ঘ হচ্ছে করোনার ছায়া। ইতিমধ্যেই ১৮৫টি দেশে থাবা বসিয়েছে করোনা। সেই সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যাও। বিশ্বে ৩০ লক্ষের বেশি মানুষ এখন সংক্রমণের শিকার। মৃত্যু হয়েছে মোট ২ লক্ষ ১০ হাজারের বেশি মানুষের। এর মধ্যে শুধুমাত্র আমেরিকাতেই মারা গিয়েছেন গোটা বিশ্বে করোনায় মৃতের  চার ভাগের এক ভাগ মানুষ। ৫৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্টে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই রাশিয়া ও ব্রাজিলকে ঘিরে নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। সেখানে ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে সংক্রমণের গ্রাফ।

চিন থেকে ইউরোপ ও তার পরে আমেরিকা। ক্রমশই ভরকেন্দ্র বদলাচ্ছে কোভিড ১৯। আমেরিকায় ৯ লক্ষ ৮৮ হাজার মানুষ এখন সংক্রমণের শিকার। অতিমারির এমন ভয়াবহ ছবি দেখে শিউরে উঠছে গোটা দুনিয়া। শুধু মাত্র নিউইয়র্ক শহরেই মারা গিয়েছেন সাড়ে ১৭ হাজার মানুষ। চিনের পর, করোনা যে ভাবে আক্রমণের ঝড় তুলেছিল স্পেন ও ইটালিতে, সেই পরিস্থিতিতে কিছুটা রাশ টানা গিয়েছে। ফ্রান্স , জার্মানি ও ব্রিটেন, প্রতিটি দেশেই মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাপিয়ে গিয়েছে। করোনার আতঙ্ককে সঙ্গী করেই অনেক দেশই লকডাউনের নিয়মকানুন শিথিল করতে শুরু করেছে। ঝুঁকিপূর্ণ নয় এমন এলাকায় কাজ কর্ম শুরু করে দিয়েছে আমেরিকা ও ইটালির মতো দেশগুলি। কিন্তু সে পথে এখনই হাঁটবে না ব্রিটেন। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এখনই লকডাউন শিথিল করা হবে না সে দেশে।

এই আবহেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে রাশিয়া ও ব্রাজিলের পরিস্থিতিকে ঘিরে। সোমবারই আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে চিনকে টপকে গিয়েছে পুতিনের দেশ। সেখানে করোনার কবলে পড়েছেন ৯৩ হাজার মানুষ। তবে মৃতের সংখ্যা ৮৬৭। গত মার্চেই দেশে লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন পুতিন। আগামী ৩০ এপ্রিল শেষ হচ্ছে তার মেয়াদ। পরিস্থিতি সঙ্গীন ব্রাজিলেও। সেখানে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ। সরকারি মতে, মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬০০ জনের। কিন্তু আশঙ্কা তৈরি হয়েছে অন্যত্র। সংবাদ সংস্থা এপি-র দাবি, লাতিন আমেরিকার ওই দেশটির বহু নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বাড়িতেই। সেই পরিসংখ্যান নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্টরা। অনেক গবেষকই মনে করছেন, ব্রাজিলে ইতিমধ্যেই অনেক বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন।

করোনার কবল থেকে দ্রুত মুক্তি মিলবে না বলে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এ ডিরেক্টর টেডরস অ্যাডহ্যানম ঘ্রেবেইসাস। তাঁর মতে, আফ্রিকা, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ার দেশগুলিতে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে হু সতর্ক রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে শিশু মনে এই অতিমারির প্রভাব নিয়েও সতর্ক থাকতে বলেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here