Calcutta time : ভোটের আগে থেকেই কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র নিজের পরিচয় দিয়ে থাকেন ‘কালারফুল বয়’ নামে। এবার তারই এলাকার বেআইনি প্রোমোটিংয়ের বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূল নেতা।  কিছুদিনের মধ্যেই, নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে একটি ফেসবুক লাইভে  তিনি কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “বাড়াবাড়ি দেখলে পাঞ্জা কেটে নেব।” পরে অবশ্য নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চাইলেন তিনি, কিন্তু, হুঁশিয়ারি দেওয়া থেকে বিরত থাকেননি ‘এমএম’।

এছাড়াও সংবাদমাধ্যমকে কামারহাটির বিধায়ক জানান, “লাইভে তিনি নিজের পাঞ্জা কাটার কথা বলেছেন। অন্যের নয়। শুধু তাই নয়, তিনি ক্ষমা চেয়েছেন এই বলে, তাঁর মন্তব্য যদি কোনো খারাপ  লাগে তার জন্য দুঃখিত। তবে এলাকায় বেআইনি কাজ হতে দেবেন না বলেই দাবি করেছেন মদন।”

এছাড়াও তিনি বলেন, “আমি হাতের পাঞ্জা কেটে নেব মানে নিজের হাতের পাঞ্জা কেটে নেব বলেছি। হ্যাঁ, মানছি আমি আবেগের বশে বলেছি। কিন্তু নিজেরই তো পাঞ্জা কাটব। লোকে আমায় ভালবাসেন। তাই আমি পাঞ্জা কাটলে কেউ যদি খারাপ পান সেই জন্য বলেছি। আমি কথাটা উইথড্র করছি।”

মদন মিত্রের এ হেন অভিযোগের পরেই ব্যারাকপুর-দমদমের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি পাল্টা জানিয়ে দেন যে, মেঘনাদ মাঠ দখলের কোনও খবর তিনি জানেন না। এমন কোনও খবর তাঁর কাছে আসেনি। পাশাপাশি, বিধায়কের মন্তব্যও যে তাঁর ভাল লাগেনি তা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন পার্থ।

এই ঘটনার পরেই আরও একটি ফেসবুক লাইভ করেন মদন। সেখানে সম্পূর্ণ সুর বদলে তিনি বলেন, “ধন্যবাদ পার্থ ভৌমিক। পার্থর সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত। আমি পাঞ্জা কেটে নেব কথাটা রাগের বশে উত্তেজিত হয়ে বলেছি। আই অ্যাম রিয়েলি সরি। আমি নিজের পাঞ্জা কাটার কথা বলেছি। প্রোমোটারের নয়। ঠিক আছে, আমরা এখন সরকারে রয়েছি। সরকারের উচিত মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করা। তবে এই লড়াকু মনোভাব, এই পাঞ্জা কটে দেব বলাটা তো কোনও অশ্লীল কথা নয়, এটা আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে শিখেছি। এরকম লড়াকু মনোভাব আমাদের নেত্রীর থেকেই শেখা।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here