Calcutta time : দিনটি ছিল ১৪ই জুন। সেই থেকে বলিউডের নক্ষত্র অর্থাৎ সুশান্ত সিংয়ের স্মৃতি, তাঁর সুবিচার চেয়ে লড়াই জারি রেখেছেন সুশান্তের বোন শ্বেতা থেকে তার ফ্যানেরা। সুশান্তের বোন বারংবার আবেদন রেখেছিলেন, সুশান্তের মৃত্যুর ‘ক্লোজার’ দেওয়া হোক তাঁর পরিবারকে।
এছাড়াও গোটা দুনিয়া জুড়ে #JusticeForSushant আন্দোলনের আকারে ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। একবছর পরে সুশান্তের সেই বোন শ্বেতা সিং কীর্তি, আপাতত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিদায় নিয়ে গেছেন পাহাড়ে। খানিক নীরবতা আর শান্তিতে ভাইকে স্মরণ করতে।
সুশান্তের মৃত্যুদিনকে তাঁর ফ্যানেরা ঘোষণা করলেন Anti Nepotism Day হিসাবে। কারণ বেশিরভাগের বিশ্বাস, বলিউডের পরিচিত বৃত্তের বাইরে থেকে এসে মেইনস্ট্রিম হিরো হওয়াটা অনেকেই ভালো চোখে দেখতে পারেন নি। বিশেষত, ‘ধোনি’ ছবিতে তাঁর অসাধারণ অভিনয় দেশের বিখ্যাত একটাও অ্যাওয়ার্ড না এনে দেওয়ায় আরও হতাশ অনুরাগীকুল। তাই তাঁদের বিশ্বাস, খানিকটা হতাশায় ভুগতেন সুশান্ত। যদিও সেটাই তাঁর মৃত্যুর কারণ কিনা, সেটা অবশ্য এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। হ্যাঁ, এক বছর পরেও পরিবারের কাছে কোনও ‘ক্লোজার’ নেই।
বলিউডের বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার-পরিচালক রেমো ডিসুজা। হঠাৎই তিনি জানালেন, সুশান্তকে নিয়ে তাঁর একটা ডান্স-ফিল্ম করার ইচ্ছা ছিল। পরিচালক রেমো তাঁর ডান্স-ফিল্ম ABCD ও তার সিক্যুয়েল তৈরি করেছেন। তখন কোনওভাবেই তাঁর মনে হয়নি সুশান্তের কথা। তাই হঠাৎ তাঁর এমন ঘোষণায় ট্রোলিংয়ের শিকার তিনি।
তাঁর বাবা দিল্লি আদালতের কাছে আবেদন রেখেছিলেন যাতে সুশান্তের জীবনের উপর কোনও ছবি তাঁর অনুমতি ছাড়া প্রকাশিত না হয়। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে দিল্লি আদালত। ছেলের মৃত্যুর ঠিক এক মাস পরে বিহার পুলিসের কাছে কেসের অধিক্ষেত্র পরিবর্তন করার আবেদন জাগান তিনি। সুশান্তের তৎকালীন বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ আনেন তিনি। অভিযোগ আনেন সুশান্তের তৎকালীন ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানির বিরুদ্ধেও, যেখান থেকে সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত নতুন করে শুরু হয়। CBI, ED আর NCB এই ত্রিফলা তদন্ত শুরু হয় অভিনেতার বাবার দাবি মেনেই।
সুশান্তের মৃত্যুর বর্ষপূর্তিতে দাঁড়িয়ে এখনও কিন্তু তদন্তের কিনারা হয়নি। CBI তাঁদের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ED-র তদন্তও চলছে।