ক্যালকাটা টাইম : বলিউড মাদক কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে নবাব-কন্যা সারা আলি খানেরও। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সারাকে সমন পাঠায় নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো । শনিবার নির্ধারিত সময়েই এনসিবি’র অফিসে পৌঁছে যান সারা আলি খান। জেরায় ‘কেদারনাথ’ তারকা কোনওরকম মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেননি। তিনি জানান, সুশান্তের পাবনা লেকের ফার্ম হাউজে গিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু কখনও ড্রাগস নেননি। তাঁর দাবি, তিনি কোনও মাদক কারবারিকেও চেনেন না।

সূত্রের খবর, জেরায় সৈফ কন্যা সারা জানান, ২০১৮ সালে ‘কেদারনাথ’-এর শ্যুটিং চলাকালীন তিনি আর সুশান্ত একে অপরের কাছাকাছি আসেন। ছবির শ্যুটিং শেষ হয়ে যাওয়ার পরও দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সুশান্তের ‘কেপ্রি হাউজ’-এর বাড়িতে মাঝেমধ্যেই যেতেন সারা।

এনসিবি জেরায় সুশান্তের সঙ্গে থাইল্যান্ড ট্রিপের বিষয়েও মুখ খোলেন সারা,জেরায় তিনি জানান, সুশান্তের সঙ্গে বেশ কয়েকবার লোনাওয়ালা ফার্ম হাউজে গিয়েছিলেন। কয়েক বার সিগারেট খেয়েছেন ঠিকই, তবে কখনও মাদক সেবন করেননি। সারা এও জানান, সুশান্ত ফার্ম হাউজে বেশ কয়েকবার গাঁজা খেয়েছিল
ডিআরডি-ও গেস্ট হাউজে সকাল থেকে টানা ৫ ঘণ্টা জেরা হয় সারা আলি খানকে। নায়িকার জন্য আগে থেকেই একটি প্রশ্ন তালিকা তৈরি করেছিল এনসিবি! দেখে নিন কী কী প্রশ্ন ছিল সেই তালিকায়–

আপনি মাদক সেবন করেন ?
রিয়াকে কবে থেকে চেনেন ? কীভাবে চেনেন? রিয়ার থেকে কখনও পানি ড্রাগস নিয়েছেন ? রিয়া কখনও আপনার সামনে মাদক সেবন করেছেন ?সুশান্তের সঙ্গে আপনি ফার্ম হাউজে যেতেন?আপনি আর সুশান্ত ড্রাগস সেবন করতেন ?’কেদারনাট’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন আপনি মাদক সেবন করেছিলেন ? কোন মাদক কারবারির সঙ্গে পরিচয় আছে ?

শনিবার সবার চোখে ধুলো দিয়ে সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ এনসিবি দফতরে পৌঁছে যান দীপিকা । জানা গিয়েছে গত রাতে মুম্বইয়ের একটি পাঁচ তারা হোটেলে ছিলেন তিনি । সেখান থেকেই ছোট একটি গাড়িতে নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ডিআরডিও গেস্ট হাউজে পৌঁছে যান পদ্মাবতী । টানা সাড়ে ৫ ঘণ্টা জেরা করা হয় বলিউডের ‘পদ্মাবতী’ -কে। এনসিবি সূত্রে জানা যায়, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দীপিকার ফোন। প্রসঙ্গত, এই ফোন থেকেই ২০১৭ সালে ট্যালেন্ট ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশের সঙ্গে মাদক নিয়ে চ্যাট করেছিলেন দীপিকা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here