Calcutta time : ইউক্রেনের উপর লাগাতার হামলা চালিয়েই যাচ্ছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশ অনুযায়ী সামরিক অভিযান শুরু করা হলেও, দেশের অধিকাংশ বাসিন্দাই শান্তি চান তারা না প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যুদ্ধ হোক। ইতিমধ্যেই রাশিয়ার বিভিন্ন শহরের পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া-তেও নিত্যদিন ক্ষোভ-প্রতিবাদ প্রদর্শন করছেন সাধারণ মানুষেরা। এবার দেশবাসীর কন্ঠরোধ করতেই আরও কঠোর পদক্ষেপ নিল রুশ প্রশাসন। শুক্রবার থেকেই রাশিয়ায় ফেসবুক ও একাধিক সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট খুলছে না বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার নাগরিকেরা যে সোচ্চার হয়েছেন, তা বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রুশ সরকার।

সংবাদসংস্থা এ.এফ.পি-র মস্কোর সাংবাদিক শুক্রবারই জানান, ফেসবুক খুলছে না। এছাড়াও মেডুজ়া, দ্যুসে ওয়েল্লে, আর.এফ.ই-আর.এল ও বিবিসির রাশিয়ার ভাষার পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরই গ্লোবালচেক নামক একটি অলাভজনক বেসরকারি সংস্থার তরফেও জানানো হয়, রাশিয়ায় ফেসবুক সহ একাধিক ওয়েবসাইট আংশিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

মেডুজা সংবাদমাধ্যম তাদের টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে জানান, রাশিয়ার বেশ কিছু ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল সাইট ব্যবহারকারীই আর তাদের ওয়েবসাইট দেখতে পাচ্ছেন না। তবে রুশ কর্তৃপক্ষের তরফে ওয়েবসাইট ব্লক করার কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। একাধিক স্বাধীন সংবাদমাধ্যমেরই দাবি, গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উপর রুশ বাহিনী হামলা চালানোর পর থেকেই  সংবাদমাধ্যমগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করছিল প্রশাসন। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই ‘এখো মস্কভি’ রেডিয়ো স্টেশন ও দোজ়দ নামক স্বাধীন টিভি চ্যানেলের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় এবং  ইউক্রেনের যুদ্ধের খবর নিয়ে রুশ প্রশাসনের তরফে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা মানতে অস্বীকার করাতেই এই সমস্ত ওয়েবসাইটগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এমনটাই জানা গিয়েছে।

ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রতিবেশী ইউক্রেনে যে সামরিক অভিযান শুরু করা হয়েছে, তা কোনও আক্রমণ বা সামরিক অভ্যুত্থান নয় বরং পশ্চিমী শক্তি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই এই অভিযান শুরু করা হয়েছে। তবে ক্রেমলিনের এই দাবি মানতে অস্বীকার করে দোজ়াদ সহ একাধিক সংবাদমাধ্যম। তারপরই তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা নেমে আসে।

গত সপ্তাহ থেকেই রাশিয়ায় ফেসবুকের উপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। গত শুক্রবার রাশিয়ার নিজস্ব সংবাদমাধ্যম রসকমনাজ়োরের তরফে জানানো হয়, ফেসবুক রাশিয়ার নিজস্ব সংবাদসংস্থা আরআইএ নোভোস্তি, জাভেজদা, লেন্টারু ও গাজেটা-রুর উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ওই নিষেধাজ্ঞা যেন তুলে নেওয়া হয়। তবে এমনটাও দাবি করা হয়েছে যে দেশের অন্যান্য কোনও সংবাদসংস্থার উপরে এই বিধিনিষেধ জারি করেনি ফেসবুক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here