Calcutta time : এবার সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাদাগিরি শেষ। এবার রাস্তায় অহেতুক হেনস্থা করতে পারবে না সিভিক ভলান্টিয়াররা। বাইক আরোহীদের জন্য দারুন সুখবর।
আপনার কাছে গাড়ির সব ডকুমেন্ট আছে কোনো ট্রাফিক নিয়মই ভাঙেননি আপনি। তবুও বিনাকারণে আপনাকে নিশ্চই নাকা চেকিং এর সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ অগনিত মোটরবাইক আরোহীদের। তবে এবার তাদের জন্য সুখবর। সিভিক ভলান্টিয়ারদের একাংশের মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ির কারণেই জারি করা হলো নতুন এই নির্দেশিকা। সুরক্ষার স্বার্থে পুলিশ যেকোনো জায়গায় নাকা চেকিং করতে পারে কিন্তু কাগজপত্র দেখা নিয়ে অহেতুক হেনস্থা কোরতে পারবে না কোনো সিভিক ভলান্টিয়ার
লালবাজারের তরফ থেকে সম্প্রতি ট্রাফিক গার্ড, ওসি এবং এওসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, পুলিশ কর্মীদের নথিপত্র পরীক্ষার অনুমোদন নেই। তাদের সেইসব দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। সাধারণত সিভিক ভলান্টিয়ার এবং হোম গার্ডদের একাংশ বাইক আরোহীদের অহেতুক হেনস্থা করে থাকে অথচ কাগজ পত্র বা অন্য কোনো নথি খতিয়ে দেখার কোনো অনুমোদন নেই। আবার এর পরিপ্রেক্ষিতেই এবার কড়া পদক্ষেপ নিল লালবাজার। এবার থেকে কেবলমাত্র সাব ইন্সপেক্টর অথবা সার্জেন্টরা বাইক আরোহি অথবা যেকোনো গাড়ির নথিপত্র পরীক্ষা কোরতে পারবেন। এর বাইরে অন্য কোনো কর্মীদের দ্বারা এমন কোনো কাজ করলে শোকজ করা হবে তাই এবার থেকে নাক চেকিং-এ সিভিক ভলান্টিয়ার বা হোমগার্ডরা নথি পরীক্ষা করতে চাইলে অভিযোগ জানান। কেবলমাত্র সাব ইন্সপেক্টর অথবা সার্জেন্টদের নথি পরীক্ষা করতে দিন।
রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ আপনাকে আটকালে আপনার করণীয় কি কি –
প্রথমত, পুলিশের চাপে পরে অন্যায্য কাজ করবেন না।
দ্বিতীয়ত, ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা কখনো নয়।
তৃতীয়ত, ঘাবড়ানোর কিছু নেই। আপনার কিছু অধিকার আছে সেগুলো জেনে রাখা ভালো। পুলিশ খালি হাতে কিছু দাবি করতে পারে না। ই চালান মেশিন থাকতে হবে।
চতুর্থ, জফি ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি থামায় শুধুমাত্র ড্রাইভিং লাইসেন্স যথেষ্ট। পুলিশের কাছে সেটা হস্তান্তর করবেন কিনা সেটা নিতান্তই আপনার ইচ্ছে।
পঞ্চমত, মোটর ভেহিকেল অ্যক্টের 130 ধারা অনুযায়ী, ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে হবে। দিতে হবে না। বৈধ রশিদ ছাড়া পুলিশ কারোর ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে পারে না।
ষষ্ঠত, ট্রাফিক পুলিশকে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। ট্রাফিক পুলিশের পোশাকে কোনো ব্যাচ দেখতে না পেলে পরিচয়পত্র দেখতে চান। পরিচয়পত্র না দেখালে তাকে গাড়ির কাগজপত্র দেবেন না। ট্রাফিক পুলিশ হয়রানি করলে পুরো ঘটনার বিস্তারিত বর্ননা করে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান।




