Calcutta time : লোকসভায় অস্বস্তি বাড়লো তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের। সম্প্রতি তাঁর ও নিখিল জৈনের সম্পর্ক নিয়ে একটি বিবৃতি দেন নুসরত, যেখানে তিনি দাবি করেন যে তাঁদের বিয়ের কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই, তাই সেটা আদতে বিয়েই নয়। লিভ-ইন বলা চলে। তা সত্ত্বেও লোকসভায় কেন নিজেকে বিবাহিত বলে পরিচয় দিলেন বসিরহাটের সাংসদ? লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে নুসরতের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ জানালেন বিজেপি সাংসদ সঙ্ঘমিত্রা মৌর্য।

আজ লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁর সাংসদ সঙ্ঘমিত্রা। তাঁর দাবি, লোকসভায় ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে নুসরতের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।

সম্প্রতি নিখিলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে নুসরত যে বিবৃতি দিয়েছেন, তার উল্লেখ রয়েছে এই অভিযোগে। নুসরত তাঁর বিবৃতিতে দাবি করেন, ‘আমার আইনত বিয়ে হয়নি। তাই বিবাহবিচ্ছেদের প্রশ্ন উঠেছে না। আমরা অনেকদিন ধরেই আলাদা থাকছি।’ অভিনেত্রী তথা সাংসদ আরও জানিয়েছেন, তাঁর এবং নিখিলের তুরস্কে বিয়ে হয়েছিল, সে দেশের নিয়ম মেনে। যা ভারতীয় আইনের স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতায় পড়ে না। আর ভিনধর্মে বিয়ে হওয়ায় ভারতে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টেই বিয়ের মান্যতা পাওয়া সম্ভব। নুসরতের দাবি, আদালতের বিচারে নাকি এটা বিয়ে নয়। বরং সম্পর্ক, লিভ ইন সম্পর্ক। সে কারণেই দাম্পত্য বিচ্ছেদের কোনও প্রশ্ন ওঠে না বলে দাবি নায়িকার। নুসরতের কথায়, “অনেকদিন আগে আমরা আলাদা হয়ে গিয়েছি। আমি এটা নিয়ে কথা বলিনি। কারণ ব্যক্তিগত জীবন ব্যক্তিগতই রাখতে চেয়েছি। সুতরাং আমার কোনও কাজ সেপারেশনের নিরিখে প্রশ্ন করা উচিত নয়। আইনের চোখে আমাদের বিয়েই হয়নি।”

সেই বিবৃতির প্রসঙ্গ করে সঙ্ঘমিত্রা মৌর্য মনে করিয়ে দিয়েছেন, লোকসভায় শপথ নিতে এসে নিজেকে নুসরত জাহান রুহি জৈন নামে পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর কপালে ছিল সিঁদুর, যা বিয়ের চিহ্ন। শুধু তাই নয়, লোকসভায় জমা দেওয়া হলফনামায় নিজেকে বিবাহিত বলে পরিচয় দিয়েছেন নুসরত। স্বামীর নাম হিসেবে লিখেছেন নিখিল জৈন। তাই বিজেপি সাংসদের দাবি, সাংবাদিকদের দেওয়া বিবৃতি ও লোকসভার হলফনামার মধ্যে মিল নেই। এ ভাবে লোসকভায় ভুল তথ্য দেওয়া বেআইনি ও অনৈতিক বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি সাংসদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here