Calcutta time : প্রত্যেকদিনের রূপ পরিচর্চার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান হলো সানস্ক্রিন, শুধুমাত্র বাড়ির বাইরে বেরোলেই নয় আমাদের সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে বাড়িতে থাকলেও। এতে ট্যান কম পড়বে। কারণ সানস্ক্রিন আমাদের সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। বলা যায় আমাদের ত্বকের হাতিয়ার এই সানস্ক্রিন। আর এই ত্বককে মসৃণ রাখতে, যাবতীয় কালো ছোপ দূর করতে এবং ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে সাহায্য করে সানস্ক্রিন।
সবার ত্বকেই যে সানস্ক্রিন প্রয়োজন এর কিন্তু কোনো মানে নেই। আপনারা পাউডার, জেল, স্প্রে এবং লোশনও ব্যবহার করতে পারেন।
বর্তমানে স্প্রে সানস্ক্রিন আমাদের জন্য জনপ্রিয়। কারণ এখন সকলে ব্যস্ততা, সময়ের অভাবের কারণে নিজেকে সময় দিতে পারে না। ফলে তখন ভরসা ওই স্প্রেটাই। গাড়ির মধ্যে সহজেই স্প্রে করে নেওয়া যায়। তেমনই হাতের কাজ করতে করতেও ব্যবহার করা যায় সানস্ক্রিন। কিন্তু এতে খাবারের সঙ্গে সানস্ক্রিন মিশে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। যা আমাদের শরীরকে অসুস্থ করতে পারে। তাই বাড়ির বাইরে ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করলে অনেক সময়ই হাত ধোওয়ার সুযোগ থাকে না।
আর হাত না ধুয়ে খাওয়া কিন্তু একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এছাড়াও গাড়িতে অনেক সময়ই বাচ্চারা থাকে। লোশন স্প্রে করলে তাদেরও চোখে মুখে লাগার একটা সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই এই অভ্যাস থেকে নিজেকে যতটা দূরে সরিয়ে রাখতে পারবেন ততই কিন্তু ভাল। যাঁদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে তাদেরও কিন্তু এই স্প্রে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত নয়।
আর তাই এই সমস্যার জন্য কিন্তু সবথেকে ভালো ক্রিম। জেল নয় কিংবা পাউডার ও নয়। সানস্ক্রিন পাউডার ব্যবহার করা যেমন খুব একটা স্বাস্থ্যসম্মত নয়, তেমনই কিন্তু ত্বকের জন্য খুব একটা ভালও নয়। সানস্ক্রিন পাউডার থেকে পরবর্তীতে আসতে পারে ত্বকের নানা সমস্যা। ক্রিম বা লোশন সরাসরি মুখেই ব্যবহার করা হয়। এর ফলে কিন্তু ভাল কাজ হয়। ত্বকও রক্ষা পায়। সেই সঙ্গে সানস্ক্রিন তুলনায় ভারী হয়। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণেও লাগানো যায়। অতিরিক্ত খরচাও হয় না।
আর স্প্রে করলে ক্রিমের তুলনায় বেশি খরচ হয়। সেই সঙ্গেও ত্বকও যে পর্যাপ্ত সুরক্ষা পায় এমন কিন্তু নয়, সবথেকে ভালো ভিটামিন সি সিরাম আর সানস্ক্রিন একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।