Calcutta time : এবার মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার পত্রে সই করলেন সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমন। এই মহৎ কাজ করে তিনি খুশি অনেকটাই। গতকাল অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্যাবেলা এই নথিপত্রের কাজগুলি সেরে ফেলেন তিনি। এছাড়াও, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করে এই খবর নিজেই দিয়েছেন।

অর্গ্যান ডোনেশন নিয়ে বহু মানুষের ভুল ধারণা রয়েছে। কাজ করতে গিয়ে প্রতিদিনই সে সব ভুল ধারণার সম্মুখীন হন ডক্টর তমাল ঘোষ। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, “অর্গ্যান ডোনেট করলে দেহের কোনও বিকৃতি হবে, এই ভুল ধারণা রয়েছে মানুষের। এটা ভাঙাতে হবে। অর্গ্যানের জন্য অর্গ্যানই চাই। কোনও ফ্যাক্টারি তো নেই, যেখানে অর্গ্যান তৈরি করা যাবে। একমাত্র যদি কেউ ডোনেট করেন, তবেই পাওয়া যাবে। আর একজন লাইভ লোক কিডনি বা লিভার দিতে পারেন। কিন্তু হার্ট বা লাংস তো জীবন্ত মানুষ, অর্থাৎ লিভিং ডোনার দিতে পারে না। তার জন্য ব্রেন ডেথ হতে হবে। এই সচেতনতা গড়ে তুলতে চাইছি। যাতে আমার ব্রেন ডেথ হলে যদি অঙ্গদান করি তা হলে অন্য কেউ পাবেন, তার উপকার হবে। সমাজের উপকার হবে।”

এছাড়াও অঙ্গ নেওয়ার ক্ষেত্রে বয়সসীমা কত হওয়া প্রয়োজন তা নিয়েও সাধারণ মানুষের ধারণা অত্যন্ত সীমিত। এ প্রসঙ্গে ডক্টর তমাল ঘোষ বলেছিলেন, “অর্গ্যান দিয়ে তো মানুষের কাজে লাগতে হবে। ধরুন কোনও পেশেন্ট ডায়াবেটিক বা কোনও পেশেন্টের ক্যানসার আছে, অথবা লিভারে হয়তো সমস্যা আছে তার অর্গ্যান তো ভাল হবে না। এগুলো পরীক্ষা করে নেওয়া হয়। আমরা ৫০ – ৬০-এর মধ্যে কিডনি নেওয়ার চেষ্টা করি। কম বয়স হলে ভাল। আর কর্নিয়া ৭০-এর উপর হলেও নেওয়া যায়।”

কবীর সুমনের মতো জনপ্রিয় শিল্পীর এমন পদক্ষেপে সচেতনতা অনেকটাই বাড়বে, তেমনটাই মনে করছেন তাঁর অনুরাগীরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here