বিনীতা দাস : আমাদের শরীরে একটু ব্যথা যন্ত্রণা হলেই আমরা পেইনকিলার খেয়েনি। কিন্তু জানেন কি ক্রমাগত পেইনকিলার খাওয়া আমাদের শরীরের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর। পেইনকিলারের বদলে খাদ্যের ওপর ভরসা রাখুন কারণ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এমন অনেক খাবার রয়েছে যা ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নিন সেগুলো কী কী –
টক দই –
টক দই ব্যথা বা যন্ত্রণা দূর করতে সাহায্য করে। দুগ্ধজাত এই পণ্যটির মধ্যে প্রোবায়োটিক্স রয়েছে যা পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। পাশাপাশি ঋতুস্রাবের সময় হওয়া পেটের খিঁচুনি থেকেও আরাম দেয় টক দই।
লবঙ্গ –
লবঙ্গ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এ পরিপূর্ণ যা দাঁতের ব্যথা উপশম করতে এবং মুখের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। দাঁতে ব্যথা হলে, দুটি লবঙ্গ পিষে নিন, গুঁড়োটি সামান্য অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে সরাসরি ওই স্থানে লাগিয়ে নিন। এমনকি তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়ার জন্য আপনি এক টুকরো লবঙ্গ চিবিয়েও নিতে পারেন।
হলুদ –
কারকিউমিন হল হলুদের সক্রিয় উপাদান যা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। এতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা জয়েন্ট এবং পেশীবহুল ব্যথা উপশম করতে এবং ফোলাভাব কমাতেও অত্যন্ত উপকারী। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্যগুলি স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারী।
রসুন –
রসুনে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যগুলি রয়েছে, যা একটি আশ্চর্যজনক নিরাময় এজেন্ট হিসাবে কাজ করে। যে কোনও সংক্রমণ এবং ব্যথা থেকে উপশম পেতে রসুন দারুণ কার্যকর। এমনকি যে কোনো ব্যথা থেকে উপশম পেতে রসুন তেলও ব্যবহার করা যায়।
আদা –
আদায় আছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যা পেশীর ব্যথা, আর্থ্রাইটিস, পেটে ব্যথা, বুকে এবং মাসিকের ব্যথা থেকে ব্যথা উপশম করতে অত্যন্ত উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে যে আদা চা পান করলে মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও আদা কাশি, গলা ব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের সমস্যাকেও দূর করতে সহায়তা করে।
পুদিনা পাতা –
পুদিনার পাতা পেশীর ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, মাথা ব্যাথা এবং স্নায়ুর ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।
এপসম সল্ট –
এপসম সল্ট বা এপসম লবণ কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য একটি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার হিসাবে কাজ করে, কারণ এটি অন্ত্রের পেশীগুলিকে সংকুচিত করতে সহায়তা করে। এক কাপ জলে বা ফলের রসে দু চা-চামচ এপসম লবণ মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে উপকার পাওয়া যায়। লবণের ম্যাগনেসিয়াম পেশী শিথিলতা এবং নিরাময়কে উৎসাহিত করে। এই কারণেই সাধারণত স্পা করার সময় এপসম লবণ ব্যবহার করা হয়।