Calcutta time : “আমি অনেক আগে বলেছিলাম একে তিহাড়ে যেতে হবে। লোটা কম্বল নিয়ে তিহাড়ে যেতে হবে।” যেন মিলে যাচ্ছে তাঁরই ভবিষ্যদ্বাণী। অনুব্রত গড়ে দাঁড়িয়ে অনুব্রতকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে নিজেই সে কথা বলছেন বলছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িতে বীরভূমে মাস্টরস্ট্রোক দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর হাত ধরেই এদিন বিজেপি-তে যোগ দিলেন বীরভূম তৃণমূলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি বিপ্লব ওঝা। তবে তিনি যে দলের সঙ্গে নেই সেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মঙ্গলবার সকালেই। আর বিকালেই নলহাটির সভায় হাসিমুখে শুভেন্দুর সভায় বসতে দেখা গেল তাঁকে।

উল্লেখ্য, দিন অনুব্রতর গড়ের হানা দিয়ে শাসক তৃণমূল থেকে বীরভূমের বেতাজ বাদশার বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর দাবি, অনুব্রত ব্রিগেডের হাতে নষ্ট হচ্ছে বীরভূমের ভাবমূর্তি। নেপথ্যে রয়েছে শাসকদল তৃণমূল। নলহাটির সভা থেকে চাঁচাছালো ভাষায় আক্রমণ শানাতে গিয়ে বললেন, “আমরা আগে বীরভূমকে বলতাম তারাপীঠ খ্যাত বীরভূম, শান্তিনিকেতন খ্যাত বীরভূম, কবিগুরুর বীরভূম, ভারতের প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্মস্থান বীরভূম। আর আজকে সেই বীরভূমে জঙ্গলের রাজত্ব দেখা যাচ্ছে। যার নেপথ্যে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।”

এদিন শুভেন্দু বলেন, “পুলিশের কী নগ্ন চেহারা! এবার কোথায় যাবেন পুলিশবাবারা? কোর্ট তো চেপে ধরেছে। পুরনো এফআইআরকে হাতিয়ার করে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। এই মমতাই এই জেলাতেই ১০টা প্রশাসনিক সভাতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জেলাশাসক, এসপিকে, মুখ্যসচিবকে, ডিজিপিকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন কেষ্ট যা বলবে তাই করতে হবে। আর এখন কেষ্টকে এখানে রাখতে চাইছে।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here