করোনা ও উম্ফুন এ সমস্যায় থাকা মানুষদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ বি জে পি-র
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির আকার নিয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এর মোকাবিলায় লকডাউন জারি রেখেছে।৫ দফার লকডাউন শুরু হয়েছে।লকডাউনের প্রভাবে দিন-আনা, দিন-খাওয়া মানুষজন সমস্যায় ছিল- তার উপর গত ২০ মে ‘উম্ফুন’ ঝড়ের তান্ডবে আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে।লকডাউনের প্রভাবে কর্মহীন ও বন্দীদশায় থাকা ও উম্ফুন ঝড়ের তান্ডবে গৃহহীন হয়ে পড়া হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া মহকুমার অন্তর্গত বাউড়িয়া থানার বুড়িখালি এলাকায় ৫০০(পাঁচশত) দুঃস্থ ও অসহায় সাধারণ মানুষের হাতে ভাত,ডাল, তরকারি,ডিম সহ রান্না করা খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। হাওড়া গ্ৰামীণ জেলার বি জে পি-র নেতৃত্ববৃন্দের উদ্যোগে এই এই খাদ্যসামগ্ৰী বিতরণ করা হয়। সরকারি সামাজিক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া গ্ৰামীণ জেলার বি জে পি-র যুব মোর্চার সভাপতি উমাশঙ্কর হালদার, হাওড়া গ্ৰামীণ জেলার বি জে পি-র সাধারণ সম্পাদক প্রত্যুষ মন্ডল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এই কর্মসূচিতে বি জে পি-র নেতৃত্ববৃন্দ দাবি করেন, করোনা ও উম্ফুন মোকাবিলায় রাজ্য সরকার সম্পুর্ন ব্যর্থ। সাধারণ মানুষ রুজি-রোজগার হারিয়ে, গৃহহীন,অন্নহীন হয়ে সম্পুর্ন অসহায়। প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের প্রভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১০০০ (হাজার কোটি) কোটি টাকা দিয়েছেন। সেই টাকা কাদের দেওয়া হল? কতটাকা করে দেওয়া হল? তা রাজ্যের মানুষ জানতে পারছে না। কেন্দ্রর কাছে ও সেই হিসাব দেওয়া হচ্ছে না। আসলে এই টাকার বেশীরভাগ অংশ দলীয় নেতৃবৃন্দ তাদের পকেটস্থ করেছে, দলীয় কর্মীদের পকেটে দিয়েছেন।তাই হিসাব দিতে চাইছেন না। মানুষ সময় হলে এর যোগ্য জবাব দেবে।
রিপোর্ট : অভিজিত হাজরা হাওড়া