Calcutta time : জামাইয়ের মাধ্যমে নাকি এসএসসি ও টেট দুর্নীতির ৫০ কোটি টাকা পাচার করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তদন্তে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে। এ ব্যাপারে আরও তথ্য পেতে জেরা করা হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যকে। এদিন ইডির দাবি, তাঁর বেশ কিছু উত্তরই সন্তোষজনক নয়। এখন না হলেও পরবর্তীকালে ফের তাঁকে ইডি জেরা করতে পারে।
উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে ও জামাই আমেরিকায় থাকলেও তাঁদের মাধ্যমেই তিনি এসএসসি ও টেট দুর্নীতির বিপুল টাকা সরিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ইডির সূত্র জানিয়েছে, কল্যাণময় ভট্টাচার্যর দাবি অনুযায়ী, তাঁর শ্বশুরের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি টাকা সরানোর জন্য বেছে নিয়েছিলেন নিজের মামার বাড়ির লোকেদের। ইডির অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত এসএসসি ও টেট দুর্নীতির ৫০ কোটি কালো টাকা পিংলার স্কুল ও পার্থর স্ত্রীর নামে তৈরি একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে। ওই টাকার একটি বড় অংশ পাঠানো হয়েছে নগদেও। কল্যাণময় ইডির কাছে দাবি করেছেন যে, তিনি ও তাঁর স্ত্রী দু’জনেই চাকরিজীবী। চাকরি করেন আমেরিকার একটি আইটি সংস্থায়। তাঁরা ডলারে বেতন পেলেও বিপুল টাকা লগ্নি করার মতো সামর্থ তাঁদের নেই।
শ্বশুর পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজেই জামাই কল্যাণময়কে নির্দেশ দেন, তাঁর পাঠানো টাকা লগ্নির জন্য। যদিও ইডির দাবি, কল্যাণময় জানতেন যে, ওই টাকা দুর্নীতির। কিন্তু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা শ্বশুর পার্থবাবুর নির্দেশ মানতে বাধ্য হন তিনি। পার্থবাবুর নির্দেশে বেশ কয়েক দফায় তিনি ওই ৫০ কোটি টাকা পাঠান মামা কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারীকে। যদিও ইডির কাছে কৃষ্ণচন্দ্রবাবুর দাবি, ভাগ্নে কল্যাণময় যেহেতু প্রাক্তন মন্ত্রীর জামাই, তাই তাঁর পরিকল্পনা তিনি মেনে নিতে বাধ্য হন। ভাগ্নেই তাঁকে পুরো টাকা পাঠান। তাঁর মাধ্যমে ওই দুর্নীতির টাকা লগ্নি হয় পিংলার স্কুলে। আবার ওই ট্রাস্টের মাধ্যমে ওই টাকা অন্য কয়েকটি সংস্থায় পাঠানো হয়। ওই সংস্থার কর্ণধাররা হচ্ছেন কৃষ্ণচন্দ্রবাবুর স্ত্রী, শাশুড়ি, দাদার মতো আত্মীয়রাই।