Calcutta time : ‘ধর্ম হোক যার যার, বড়মা সবার’, নৈহাটির শ্যামাপুজোর অন্যতম আকর্ষণ থাকে অরবিন্দ রোডের বড় কালীর। জেলার পাশাপাশি দেশ এমনকি বিদেশেও পৌঁছেছে মায়ের কথা। বড়মার কাছে ভক্তি ভরে কিছু চাইলে ফেরান না কাউকেই। নৈহাটির প্রাচীন কালীপুজো গুলির মধ্যে এটি অন্যতম। বয়সের ভারে আজ তাই মা-কে সকলে চেনেন ‘বড়মা’ বলেই।

আজ মায়ের বিসর্জন। ভক্তদের ঢল মায়ের সামনে চোখে পড়ার মতো। আজকের দিনে মাকে ফুলের সাজে সাজানো হয়েছে। সমস্ত গয়না খুলে ফুলের সাজে সজ্জিত হয়েছে মা। আজ বিকেলেই মায়ের নিরঞ্জন হবে। কথিত আছে, বড়মা কাউকে খালি হাতে ফেরান না। তাই প্রত্যেকে মনস্কামনা পূর্ন করতে মায়ের কাছে ছুটে আসেন।

উল্লেখ্য, নয় দশকেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত করে ফেলেছে এই পুজোর বয়স। মাতৃ প্রতিমাতেই, এই পুজোর বিশেষত্ব। নৈহাটির বড়মার মূর্তির উচ্চতা ২১ ফুট। এখন চলছে মায়ের মুখমণ্ডল তৈরির কাজ। মাচা বেঁধে সিঁড়ি দিয়ে উঠে কাজ করছেন মৃৎশিল্পীরা। প্রতি বছর কৃষ্ণবর্ণের এই প্রতিমা কয়েক কেজি স্বর্ণালঙ্কারে সেজে ওঠেন। কোজাগরী পূর্ণিমা থেকে এই বড় মা কালীর কাঠামো পুজোর মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে দেবী মূর্তি গড়ার কাজ।

ভক্তদের বিশ্বাস, নৈহাটির বড়মা খুবই জাগ্রত। মায়ের কাছে কোন কিছু চাইলেই মা ভক্তদের মনস্কামনা পূর্ণ করেন। আর তাই মায়ের আশীর্বাদ পেয়ে, ভক্তরা নিজেদের সাধ্য মত দান করেন। পুজোর দিন প্রায় কয়েক হাজার ভক্ত দন্ডি কাটেন বলেও জানা যায়। মনের ইচ্ছাপূরন হলে অনেক ভক্তরাই মা-কে অলঙ্কার গড়িয়ে দেন। এ ভাবেই আজ কয়েক কেজি গয়নার অধিকারী হয়ে উঠেছেন বড়মা। মায়ের এই গয়না দেখতেও ভিড় জমে নৈহাটিতে।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here