ক্যালকাটা টাইম : প্রোমোটার সেজে অগুনতি মহিলাকে লাগাতার ধর্ষণ ও যৌন ব্যবসা। বেইমান ও বিশ্বাসঘাতকতার প্রশ্ন উঠলে মানুষের মুখে মুখে ভেসে ওঠে মীরজাফর এর নাম। কিন্তু মীরজাফরের থেকে কম বেইমান বিশ্বাসঘাতক ছিলেন না জগৎ শেঠ।সেভাবে বিশ্বাসঘাতক ওঠে না মানুষের মুখে মুখে। প্রকাশ্যে আসে না জগৎ সেটের বেইমানি বিশ্বাসঘাতকতার কলঙ্কিত অধ্যায়। এক নতুন জগত সেট এর ইতিহাস ফাঁস হতে চলেছে যে ইতিহাস পড়লে চমকিত হবেন। কি সেই ইতিহাস ঠিক যেমন বেঈমান-বিশ্বাসঘাতক ও একাধিক নারী ধর্ষণকারী হিসেবে, এখন সেভাবে উঠে আসেনি নির্মল সরকারের ছেলে সুজয় সরকার ওরফে রাজুর নাম। প্রকাশ্যে আসছিলোনা সুজয় সরকার ওরফে রাজুর নজিরবিহীন কীর্তি।সেই অজানাকে আজ এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।

নাম সুজয় সরকার ওরফে রাজু। ভাইয়ের নাম অজয় সরকার ওরফে রাজেশ। পিতার নাম নির্মল সরকার মায়ের নাম বসুমতি সরকার। স্ত্রী একাধিক। বর্তমানে বাড়িতে বসবাসকারী স্ত্রীর নাম রিয়া সরকার।আগরপাড়া পশ্চিম পল্লীর ভাড়াবাড়িতে বসবাসকারী স্ত্রীর নাম সোমা সরকার ওই সময় সরকারের গর্ভে কীর্তিমান সুজয় সরকার ওরফে রাজু একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।কীর্তিমান সুজয় সরকার ওরফে রাজুর বাড়ির ঠিকানা 3 নম্বর আজাদ হিন্দ নগর আগরপাড়া থানা ঘোলা জেলা উত্তর 24 পরগনা। রাজু সরকারের বাবা বাতালা বাজ নির্মল সরকার ঘরামি বা কাঠের কাজ করতো একসময়। হাতে রেন্দা ঘষার দাগ জ্বলজ্বল করছে। ওই রাজু একজন বেইমান বিশ্বাসঘাতক নারী ধর্ষণের মাস্টারমাইন্ড। এক সময় জঙ্গল থেকে কচুশাক কেটে বাজারে বিক্রি করতোওয়াজ নির্মল সরকারের ছেলে সুজয় সরকার ওরফে রাজু। এদিকে নির্মল সরকারের ছোট ছেলে অজয় সরকার ওরফে রাজেশ। ওই রাজেশ তার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর দয়ায় বেলঘড়িয়া বাটার মোড়ে মিনি বাসের কন্টাকটার এর কাছে কয়েন সরবরাহ করতো। ধাপ্পাবাজ ওই রাজেশ দ্বিতীয় বিয়ে করে ভিন্ন সম্প্রদায়ের এক গৃহবধূকে যদিও রাজেশের নারো কি অত্যাচার ও ধাপ্পাবাজ সহ্য করতে না পেরে রাজেশের নারকীয় অত্যাচারও ধাপ্পাবাজি সহ্য করতে না পেরে রাজেশের স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এদিকে রাজু নমিতা নামক খেলাধুলা করে এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে কিছুদিন পর লেডি কিলার রাজুর ভঙ্গ হয় নমিতার ওপর। নমিতা অনেক চেষ্টা করেছিল সংসার করার জন্য কিন্তু ততদিনে সুজয় ওরফে রাজু নজর পড়ে নাবালিকা রিয়ার ওপরে।নমিতার উপরে আকর্ষণ করছে দেখে নমিতা থানায় এফআইআর করে রাজুর বাবা বা তেলাওয়াত নির্মল সরকার মা বসুমতি সরকার ও রাজুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল রাজুর বাবা-মা ও রাজু নাকি মনিতাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য বালিশ চাপা দিয়ে খুনের চেষ্টা করেছিল। বাবা-মা ভোলা থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে ব্যারাকপুরের সাবজেলে বন্দী হয়। আর রাজু তখন নন্দন করে তার দুই মাসে একই পরিবারে বিয়ে হওয়া সোনা আর শ্রীমতীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। রাজুর নিজের কাকার শ্বশুর বাড়ি কল্যাণী সীমান্ত বেঈমান-বিশ্বাসঘাতক রাজু নারী সঙ্গ ছাড়া থাকতে পারে না নাবালিকা রিয়া শয্যা থেকে সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক নম্বর আজাদিন নগর টিনের ঘরের পেছনে বসবাসকারী মৌমিতাকে নামক মেয়েকে নিয়ে রাজু ভাগে। রাজুর মামা সদ্য প্রয়াত বাবুল বর্মন এর বাড়ি ও এক নম্বর আজাদ হিন্দ নগরে। মৌমিতা দরিদ্র পিতা আর বর্তমানে উন্মাদ অনেক খোঁজাখুঁজি করে রাজুর শয্যা থেকে নামিয়ে নিয়ে এসে বালিকা মৌমিতাকে রাজুর হাত থেকে বাঁচাতে তড়িঘড়ি এক অবাঙালি যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেয়। মৌমিতা এখন সুখেই আছে মৌমিতাকে ওর বাবা-মা নিয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গেই ত্রিবেণী তে লুকিয়ে রাখা নাবালিকা রিয়াকে নিয়ে আবার ভাগে এই রাজু। 2006 সালে ওই বিশ্বাসঘাতক বেঈমান কলকাতা আরজিকর হাসপাতালে পাশে বসবাসকারী বাপি ঘড়ুই স্ত্রী মনি থাকে ফুসলিয়ে নিয়ে এসে রেজিস্ট্রি করে। দিন রাত মনিতাদের বাড়িতে পড়ে থাকতো রাজু। সাদাসিধে বাপি ঘড়ুই সংসার ভেঙে মনিকাকে ভাগিয়ে নিয়ে এসেছিল ওই রাজু কিছুদিন ষড়রিপুর কামরিপু কে নিয়ে খেলা করে সুজয় সরকার ওরফে রাজু। এদিকে নিজের কাকার বড় লোকের নাবালিকা মেয়ে রিয়ার সঙ্গে চুটিয়ে লীলা খেলা শুরু করেছে ভাবুন বেইমান বিশ্বাসঘাতকের কান্ড। বাবা ও মা জেল থেকে জামিন পাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে কাকাকৃষ্ণ সরকারের বড় লোকের বালিকা নিয়ে রিয়াকে নিয়ে ভেগে জায়। রিয়ার মা-বাবা খুঁজতে খুঁজতে তাদের বালিকা মেয়ের হাতে শাঁখা সিঁদুর পড়ানো অবস্থায় খুঁজে পান বেইমান বিশ্বাসঘাতক নারী ধর্ষণকারী রাজু শয্যা সঙ্গী হিসাবে।অনেক বুঝিয়ে শাখা ভেঙে সিঁদুর মুছে বালিকা রিয়াকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় রাজু। এবার নাবালিকা রিয়ার পিসি, মা ও কাকা দেরি না করে কল্যাণী থানায় রাজু তার বাবা নির্মল সরকার ও মা বসুমতি সরকারের বিরুদ্ধে নাবালিকা অপহরণ, ধর্ষণ ও নাবালিকা মেয়েকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে বিয়ে করার কেস করে। ধরা পড়ে জেলে যায় রাজু ও তার বাবা মা খানেকের মধ্যেই কল্যাণী আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজ রাজু সাড়ে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এদিকে রাজুর জমির দালাল বাতেলাবাজ বাবা নির্মল সরকার নাবালিকাকে নিজের সঙ্গে বাড়িতে নিয়ে আসে। রাজু জেল খাটতে চলে যায় দমদম সেন্ট্রাল জেলে।আর নাবালিকা রিয়া ধীরে ধীরে যৌবনে পা দেয়। রাজু বাবা রাজুকে জেলে গিয়ে প্রায় দেখা করা বন্ধ করে দেয়। কারণ রাজুর বাবা নির্মল সরকারের এখন নজর যৌবনে পা দেওয়া রিয়ার দিকে। রাজু বাড়ি কখন টালির ছাউনি। বেড়া দিয়ে ঘেরা ঘর। ঘরের ভেতরের দরজা বলতে পুরনো শাড়ি লোট কে পর্দা টানানো। যারা ওই এলাকায় থাকেন তারা সকলেই এই ইতিহাস জানেন। শব্দোচচরনে ছাপার অযোগ্য সত্যি সামনে নিয়ে আসার জন্য তা উল্লেখ করতেই হচ্ছে। কারণ তা না হলে ধর্ষণকারী বেইমান বিশ্বাসঘাতকের চরিত্র তুলে ধরা যাবেনা।বলেছিল শশুর নির্মল সরকার প্রতি রাতেই তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে। রাজুর বাবা নির্মল সরকারের মনে পড়ে সেদিনের কথা? নিরুপায় নাবালিকা রিয়াকে হয়তো তারপর থেকে মেনে নিতে হয়েছিল শশুরের যৌন অত্যাচার। উপায় বা কি। অসহায় রিয়ার হাতে বিকল্প কোনো ছিলনা কোথায় যাবে রিয়া? বাবার বাড়ি ত্যাগ করে চলে এসেছিল সে। আর কি তার বাবার বাড়ি জায়গা হবে? যদি বাবার বাড়িতে জায়গা না হয় তাহলে সে কোথায় আশ্রয় নেবে? মুখ বুজে সহ্য করতে হয়েছিল রিয়া কে রিয়া কে।তবে বৌমা কথার অবাধ্য হওয়া রাজুর বাবা বৌমা কুলটা আখ্যা দিতে ছাড়েনি। বাড়ির কয়েকটা বাড়ির পাশে বাপি নামে একটি ছেলে ছিল। তার সঙ্গে নাকি বৌমার অবৈধ সম্পর্ক আছে? এমনই রটিয়ে দিয়েছিল রাজুর বাবা। হয়তো রিয়া ওই বাপি নামে যুবকের কাছে নিজের যন্ত্রণার কথা বলতে যেত সেটাকেই রাজুর বাবা হাতিয়ার করে বৌমার কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেওয়ার প্রয়াস চালিয়ে ছিল কুল্টা অপবাদ। অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে রিয়াকে বিয়ে করবে এই প্রতিশ্রুতিতে হাইকোর্টের নির্দেশে সাড়ে তিন বছর জেল খেটে বাইরে বেরোয় রাজু। প্রথমে কিছুদিন জেলবন্দি কয়েদিদের হয়ে তোলাবাজি শুরু করে সোদপুর জুড়ে। তোলাবাজি জন্য জেল থেকে এক কুখ্যাত দুষ্কৃতীর দেওয়া মোবাইলের সিম কার্ড চালু করে ফোনের মাধ্যমে তোলা তুলতে শুরু করে। কিছুদিনের মধ্যেই ব্যারাকপুর গোয়েন্দা বিভাগের কাছে খবর পৌঁছে যায় সুজয় তোলাবাজির। টের পেয়ে সুজয়ের বাতেলাবাজ বাবা নির্মল সরকার ছেলেকে নিয়ে নিজেকে প্রমোটার হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করে। প্রথমে এই এলাকার বিখ্যাত আসা ভিলা বাগান বাড়ির মালিক বলে তারা প্রচার করতে শুরু করে। ওই জমি বিক্রি করে অনেক ছেলে ছোকরাদের টাকা পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখায়। বেশ কিছুদিন দৌড়ঝাঁপ করার পর সব ভোকাট্টা। জমি তো দূরের কথা উল্টে অনেকগুলি কেসে ফেঁসে চুপসে যায় বাতেলা বাজ নির্মল সরকার।এর পরেই মমতার হিসাবে পল্লীশ্রীর বাসিন্দা উত্তম ঘোষ এর বাড়ি প্রমোটিং করবে বলে তার বাড়ি ঘর খালি করে উত্তম বাবুর বাড়ির লোহার রড ও আসবাব নিজের বাড়িতে নিয়ে চলে আসে। উত্তম ঘোষ কে পথে বসিয়ে কেটে পড়ে নির্মল সরকার ও তার ধর্ষণকারী পুত্র সুজয় সরকার। নামেই প্রোমোটার আসলে ঘটি ডোবে না। এবার এলাকার গন্ডগোলের জমিতে মাথা গলায়।সামান্য টাকা অগ্রিম দিয়েই জমি তাদের বলে দাবি করতে থাকে সেখানে এক কান কাটা রাজু সরকার নির্মল সরকার ও রাজেশ সরকার আরেক কান কাটা যায়। তাতেও তাদের লজ্জা নেই।কারণ তাদের তো আগে থেকেই কানকাটা ছিল এরপর রাজেশ এর প্রথম স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। যদিও রাজেশের প্রথম শাশুড়ির খুবই ভালো মেয়ে রহস্যজনক মারা যাওয়ার পরেও কিন্তু নাতির কথা করে মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যুর কথা চেপে যায়। এদিকে ধর্ষণকারী রাজু মনীষা কর্মকার নামে এক মহিলাকে দিয়ে যৌন ব্যবসা চালু করেছেন এই মনীষাকে সামনে রেখে সুজয় সরকার ওরফে রাজু তার ভাই রাজেশ দুজনে মিলে সরল সহজ লোকদের ফাঁসিয়ে অর্থ উপার্জন করছে । এছাড়াও দেখা যাচ্ছে এই মনীষা কে সামনে রেখে রাজু অনেক যুবকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছে লোকাল থানা সবকিছু জেনেও চোখ বন্ধ করে আছে। এলাকা পাখিদের মধ্যে এক চাপা উত্তেজনা কারণ এই সুজয় সরকার বাড়িতেই তাঁর মধুচক্র সাজিয়ে বসেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here