Calcutta time : গরুপাচার মামলায় এবার আরো সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আদালতের অনুমতি পেতেই অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে হাজির ইডির ৩ তদন্তকারী আধিকারিক। প্রচুর নথিপত্র, ল্যাপটপ ও প্রিন্টার নিয়ে সংশোধনাগারে ঢোকেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির জন্য চারপাতার বিশেষ প্রশ্নপত্র তৈরি রেখেছেন ইডির কর্তারা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতা থেকে সড়কপথে আসানসোল রওনা দেন ইডির তদন্তকারীরা। সাড়ে ১১টা নাগাদ ল্যাপটপ, প্রিন্টার ও প্রচুর নথি সহ বিশেষ সংশোধনাগারে ঢোকেন তিন তদন্তকারী আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে ভিডিওগ্রাফির যন্ত্রপাতিও রয়েছে।
অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, অনুব্রতকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে জেরা করেছে ইডি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অনুব্রত ও সুকন্যার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গরুপাচার মামলায় আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক নয়া তথ্য মিলেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে এদিন অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেই সূত্রের খবর। কীভাবে আর্থিক লেনদেন চলত, এর সঙ্গে লটারির কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তাও জানার চেষ্টা চালাবে ইডি।
এছাড়াও, গরুপাচার মামলায় বীরভূমের নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। আপাতত আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছেন তিনি। এবার জেলেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হাজির ইডি আধিকারিকরা। এই মামলায় ইতিপূর্বে সায়গল হোসেন, সুকন্যা মণ্ডল, মণীশ কোঠারির পাশাপাশি ব্যবসায়ী টুলু ওরফে নিজামুদ্দিন মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। কেষ্টর গ্রেপ্তারির পর স্বাভাবিকভাবেই গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের নজর পড়েছিল টুলুর দিকে। কিছুদিন আগে তাঁর বেশ কয়েকটি বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। ইডির তরফে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল টুলুকে। তাঁকে দিল্লিতে তলবও করা হয়।