Calcutta time : পঞ্চমীর দিন আনন্দের সাথে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি এবং সর্বজনীন পূজামণ্ডপে দেবী সরস্বতীর পূজা করা হয়, আবার সন্ধ্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সর্বজনীন পূজা মণ্ডপগুলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

সকাল থেকেই বাগদেবীরে আরাধনায় মেতে ওঠেন সকলে।

এছাড়াও যাদের ঘরে ছোট্ট খুদে রয়েছে তাদের বাড়িতেও মায়ের সামনে বসিয়ে হাতেখড়ির বেপার থাকে। শিশুর হাতে স্লেট, চক দিয়ে অ, আ, ই, ঈ, উ,ঊ লেখানো হয়। এর মধ্যে মনে করা হয় যে তার পড়াশুনা বাগদেবীকে সামনে রেখে শুরু হলো। এদিন ই খুদের অক্ষর চেনা শুরু হলো। তবে পূজার দিনই এটা হয় কেন জানেন ?

শাস্ত্র মতে, পৃথিবীতে মানুষের শ্রেষ্ঠ গুরু তার মা, শিশুর হাতেখড়ি বা বিদ্যা আরম্ভ তার মায়ের হাত থেকে শুরু হয়। বলা হয়, এতে শিশুটির মেধা বৃদ্ধি ঘটে থাকে। অবশ্য শিশুটির মা যদি না থাকেন, তা হলে তার বাবা এই কাজ করতে পারেন। প্রায় দুশো বছর আগের বাংলায় হাতেখড়ি হতো শুভঙ্করী আর্যা, চৌতিশা বা নামতা শিখে। ১৮৫৫ সালে ‘বর্ণপরিচয়’ প্রথমবার প্রকাশিত হওয়ার পরই সেই রীতি বদলে গিয়ে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের মাধ্যমে হাতেখড়ি দেওয়ার প্রথা চালু হয়। ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here