Calcutta time : আজ দেশজুড়ে পালন করা হয় মকর সংক্রান্তি, গ্রাম বাংলার সব ঘরেই মোটামুটি এদিন সকাল থেকে চলে পিঠে-পুলির আয়োজন। অঘ্রায়নের শেষে নতুন ধান ওঠে গোলায়, আর ধান দিয়েই গুঁড়ি, নতুন গুড় নারকেল সহযোগে তৈরি হয় রকমারি সব পিঠে, সকালে উঠে পুণ্যস্নানের পর নতুন পোশাকে রান্নাঘরে যান বাড়ির মেয়েরা, সেখানেই সারাদিন ধরে চলে নানা আয়োজন। মনে করা হয় এতে প্রসন্ন হন লক্ষ্মী, তবে এদিন রকমারি পিঠে-পায়েসের পাশাপাশি কিন্তু খিচুড়ি খাওয়ার রীতি রয়েছে, তিল-গুড়, খিচুড়ি, দানাশস্য এদিন শুভ বলে ধরা হয়।
পিঠে-পুলি, খিচুড়ির সঙ্গে এই দিনের বিশেষ একটি যোগ রয়েছে আমাদের দেশে সারা বছরই প্রচুর পরিমাণ ধান উৎপন্ন হয়, চাল আমাদের প্রধান খাদ্য তাই এদিন চাল-ডাল আর শীতের সবজি সহযোগে বানানো হয় খিচুড়ি, এছাড়াও এদিন বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে বিনামূল্যে খিচুড়ি খাওয়ানো হয়। আর্য়ুবেদ মতে এই সময় শরীর সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়া প্রয়োজন। যে কারণে মুগ বা মুসুর ডাল আর সবজি সহযোগে খিচুড়ি খাওয়ার উপদেশ দেওয়া হত। সেই সঙ্গে তিল আর গুড়। প্রতিটি উপাদানই যেমন পুষ্টিতে ঠাসা তেমনই অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে, এই ঋতু পরিবর্তনের সময় সকলেই কম বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সর্দি-কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। এখন আবার করোনার সময়, ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা একান্ত জরুরি। যে কারণে এই সময় ডাল-সবজি এসব বেশি করে খাওয়ার কথা বলা হয়
উল্লেখ্য কথিত আছে , খিলজি যখন আক্রমণ করত তখন নাথ যোগীরা যুদ্ধের সময় খাবার তৈরির সময় পেত না এবং তাঁরা ক্ষুধার্ত অবস্থায় যুদ্ধে রওনা দিত। বাবা গোরক্ষনাথ ডাল, ভাত ও সবজিকে একসঙ্গে রান্না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এটা চটজলদি প্রস্তুত হয়ে যায় এবং এতে যোগীদের পেটও ভরত।




