Calcutta time  :  “আমিভাগ্নেকে ভালোবাসি”, মামীর স্বীকারোক্তির পর আর বাধা হয়ে দাঁড়াননি স্বামী। মামী-ভাগ্না পালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, হাতে নাতে ধরে ফেললেন ওই যুবকের মামা। এরপর কালীমন্দিরে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে ভাগ্নার বিয়ে দিলেন নিজেই। এই ঘটনায় রীতিমতো অবাক এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের শান্তিকলোনি এলাকায়। জানা যাচ্ছে, নিজের ভাগ্নের সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের শান্তি কলোনির বধূ।

এদিন এই বিষয়টির আভাস পায় প্রতিবেশীরা। শুক্রবার ওই গৃহবধূ প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের আটক করে এবং পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ এসে খবর দেন ওই বধূর স্বামীকে। বিষয়টি সামনে আসার পর রীতিমতো নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু, সকলকে অবার করে দিয়ে নিজের স্ত্রীর পাশে দাঁড়ার বধূর স্বামী। পুলিশের হাত থেকে ভাগ্না এবং স্ত্রীকে মুক্ত করে সটান নিয়ে যান স্থানীয় একটি কালী মন্দিরে। সেখানেই ভাগ্না এবং স্ত্রীর বিয়ে দেন তিনি।

উল্লেখ্য, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে শান্তি কলোনির বাসিন্দা বিপুল সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সিঁথির বাসিন্দা ওই যুবতীর সঙ্গে। কাজের সূত্রে বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকতে হতো বিপুলকে। সেই সময় তাঁর বাড়িতে যাতায়াত ছিল ভাগ্নে ভাণু বর্মণের। তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে গ্রামে বিস্তর কানাঘুষো তৈরি হয়েছিল।

বিপুল বলেন, “আমি অনেকদিন ধরে এসব কথা শুনলেও গুরুত্ব দিতাম না। বাইরে কাজ করি। মাঝে মধ্যে আসি। তাতও স্ত্রী অশান্তি করত।” তিনি আরও বলেন, “ভাগ্নের সঙ্গে স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পাই। এরপরেই ওদের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। দুই জনে ভালোবাসলে কী করব? ভাণু ভাগ্নে হয়। অশান্তির থেকে ভালো ওরা সংসার করুক। আমাদের একটি ছয় বছরের ছেলে আছে। ছেলে আমার কাছেই থাকবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here