Calcutta time : মিষ্টি দই সহজে খাওয়া যায়। তবে, অনেকেই টক দই খান না। কিন্তু টক দইয়ে চিনি ছড়িয়ে খেলে কোনও লাভ হবে না। তবে, অনেকেই টক দই খেতে পারেন না। এক্ষেত্রে বিভিন্ন উপায়ে টক দই খেতে পারেন। এতে টকও লাগবে না, আবার পুষ্টিও মিলবে।
১) গরমে এক গ্লাস লস্যি বদলে দিতে পারে আপনার মুড। টক দই দিয়ে আপনি ঘোল, লস্যি বা বাটারমিল্ক বানিয়ে পান করতে পারেন। এতে অল্প বিটনুন ও জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে দেবেন। এতে হজম স্বাস্থ্য উন্নত হয় এবং শরীর ঠান্ডা থাকে।
২) দুপুরে খাবার পাতে রায়তা রাখতে পারেন। টক দই, শসা, পেঁয়াজ দিয়ে আপনি রায়তা বানিয়ে খেতে পারেন। এতেও বিটনুন, জিরে গুঁড়ো, গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে পাবেন। এই খাবার যেমন স্বাস্থ্যকর তেমনই সুস্বাদু।
৩) সুইট কর্ন রায়তাও বানাতে পারেন। জলখাবারে এই ধরনের খাবার পেটও ভরাবে এবং স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখবে। প্রথমে সুইট কর্ন সেদ্ধ করে নিন। এবার টক দই ফেটিয়ে তার মধ্যে নুন, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো ও সেদ্ধ সুইট কর্ন মিশিয়ে দিন। ইচ্ছা হলে এতে পেঁয়াজ, শসা, টমেটো কুচিও মিশিয়ে দিতে পারেন।
৪) জলখাবারে পরোটার সঙ্গে টক দই খেতে পারেন। কিংবা পরোটা তৈরিতেও টক দই ব্যবহার করতে পারেন। ময়দা মাখার সময় তাতে টক দই ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে আপনি জোয়ার, সুজি, রাগি, বাজরা কিংবা ওটসের পরোটা তৈরিতেও টক দই ব্যবহার করতে পারেন। এতে পরোটা নরম হয়।
৫) দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় খাবার দই-ভাত। ভাত বানিয়ে নিন। এবার নুন, চিনি, কাঁচালঙ্কা কুচি, লঙ্কা গুঁড়ো ও নারকেল কোরা দিয়ে টক দই ফেটিয়ে নিন। টক দইয়ের সঙ্গে ভাত মিশিয়ে দিন। তেল শুকনো লঙ্কা, কারি পাতা ও কড়াইয়ের ডাল ফোড়ন দিন। এবার এটা দই-ভাতে মিশিয়ে দিন। দুপুরে পাতে এই খাবারটি রাখতে পারেন।
৬) চাটনি তৈরি করতে পারেন টক দই দিয়ে। পুদিনা পাতা, ধনে পাতা, রসুন ও কাঁচা লঙ্কার সঙ্গে টক দই মিশিয়ে মিক্সিতে পেস্ট করে নিন। এতে স্বাদ অনুযায়ী নুন, লেবুর রস মিশিয়ে দিন। এই চাটনি আপনি পকোড়া, তন্দুরি সবকিছুর সঙ্গে খেতে পারেন।