Calcutta time : বিশ্বে মাইকেল জ্যাকসনকে বলা হয় সবচেয়ে সফল ভাগ্যবান একজন সেলিব্রেটি। পপ সাম্রাজ্যের বাদশাহ খ্যাত মাইকেল জ্যাকসন গান, নাচ ও ফ্যাশনে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। ব্যক্তি জীবনে বিতর্কিত পপ সম্রাট বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষাপটে চার দশকেরও বেশি সময় সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বৈশ্বিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন। তাঁর জীবনে রয়েছে একাধিক রহস্য। তিনি কি মেয়র ছিলেন নাকি ছেলে এই নিয়েও নেট দুনিয়ার একাধিক ব্যক্তির প্রশ্ন।
কপিকল অপারেটর থেকে একেবারে পপসম্রাট। জো জ্যাকসন ও ক্যাথেরিন জ্যাকসন দম্পতির সপ্তম সন্তান মাইকেল ১৯৫৮ সালের ২৯শে আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা রাজ্যের গ্যারি নামে এক গ্রামে জম্নগ্রহণ করেন।
তার পরিবার ছিল আফ্রো-আমেরিকানে। পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে মাইকেল জ্যাকসনকে কপিকল অপারেটর হিসেবে কারখানায় কাজ করতে হয়েছে। মাইকেল জ্যাকসন মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তার ভাইদের সঙ্গে ‘জ্যাকসন-৫’ মিউজিক্যাল গ্রুপে যোগ দেন।
সেলিব্রেটি মাইকেল জ্যাকসনকে চেনেন না এমন কেউ নেই। তবে ব্যক্তি মাইকেল জ্যাকসনকে অনেকেই চিনতেন না। মাইকেল মারা যাওয়ার পর তাকে নিয়ে নানান অজানা তথ্য ফাঁস করে তার বাড়ির গৃহপরিচালিকা, স্বজন এবং বন্ধুরা। এই তথ্যগুলোর কোনোটি বিস্মিত করেছে, কোনোটি বিষাদে মন পুড়িয়েছে ভক্তদের।
তিনি ব্যক্তি জীবনে খুবই নিঃসঙ্গ ছিলেন। খুব বেশি মানুষের সঙ্গে মিশতেন না। কেউ অনুমতি ছাড়া তার বাড়িতে ঢুকতে পারত না। খুবই এলোমেলো জীবনযাপনে অভ্যস্থ ছিলেন তিনি। ঠিকমতো খেতেন না। ঘুম তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। সারা রাত মাদকে আসক্ত থাকতেন। কড়া ঘুমের ওষুধে তার ঘুম আসত না। যে কারণে ঘুমের ওষুধে আসক্ত হতে শুরু করেন। এই অসহনীয় জীবন আরও কষ্টকর ছিল শিশুদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে প্রমাণ মেলার পর। রাতে না ঘুমিয়ে ঘর ছেড়ে বাড়ির বারান্দায় শুয়ে কাঁদতেন।
তাঁর মৃত্যুর রহস্য এখনো জানা যায়নি। কিং অফ পপ নামে দুনিয়া জুড়ে পরিচিত লাভ করা মার্কিন সংগীত শিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের আচমকা মৃত্যুর জন্য দীর্ঘ মেয়াদে পেইন কিলার সেবনকে দায়ী করা হয়। প্রথমে বলা হয়েছিল, তাঁর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটেছে। ডেট সার্টিফিকেট তখনও হাতে আসেনি। সবার মধ্যে প্ৰশ্ন জাগলো তিনি কি সত্যিই ডেমারোল ড্রাগসটি ব্যবহার করেছিলেন?
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে তাঁর মৃত্যু ঘটে। মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর জন্য ব্যক্তিগত চিকিৎসক কনরাড মুরকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। পপস্টারের মৃত্যুর জন্য অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও তার গাফিলতিই দায়ী বলে লস এঞ্জেলেসের আদালত রায় দেয়। তবে কি এটি হত্যা, নাকি আত্মহত্যা এখন প্ৰশ্ন রয়েই গেছে।