Calcutta time : নতুন নতুন গাড়ি চালানো শিখছেন? শেখা হলেই একটা নতুন গাড়ি কেনার কথা ভাবছেন? তার জন্য যে ড্রাইভিং লাইসেন্স দরকার। তাহলে জানুন ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করার একাধিক নতুন নিয়ম লাগু করতে চলেছে ভারত সরকার। পুরনো নিয়মগুলো বদলে যেতে চলেছে। আপনি যদি চার চাকা বা দু’চাকা গাড়ি চালান, তাহলে নিশ্চয়ই জানেন যে, এখন আর রিজিওনাল ট্রান্সপোর্টেশন অফিস বা আরটিও-তে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হয় না। এই নিয়মটা অনেক দিন আগে চালু হলেও সম্প্রতি কেন্দ্রের সড়ক ও মোটরওয়েজ় মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে ড্রাইভারের লাইসেন্স সংগ্রহ করার নিয়মগুলি মডিফাই করা হয়েছে। তবে ১লা জুলাই, ২০২২ থেকে কার্যকর হতে চলেছে ড্রাইভিং লাইসেন্স নতুন নিয়ম।

ড্রাইভিং লাইসেন্স নতুন নিয়ম ২০২২ –

১) ১লা জুলাই থেকে কার্যকর হতে চলেছে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করার নতুন নিয়ম। এই নতুন নিয়মের আওতায় কেবলমাত্র প্রাইভেট ড্রাইভিং সেন্টারগুলি অপারেট করা হবে, তা সে রাজ্যের ট্রান্সপোর্ট অথরিটি হোক বা কেন্দ্রের। ৫ বছরের জন্য এই সেন্টারগুলি বৈধ থাকবে এবং পরবর্তীতে সময়ান্তরে সেগুলিকে রিনিউ করা হবে।

২) ড্রাইভিং টেস্টের দরকার হবে না –

ডিপার্টমেন্ট অফ রোডস অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট রেগুলেশনস অনুযায়ী, রাজ্য দ্বারা স্বীকৃত ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টারে পরীক্ষায় আপনি পাশ করলেই আপনার আর আরটিও অফিসে গিয়ে ড্রাইভিং টেস্ট দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করার জন্য প্রাইভেট ড্রাইভার ট্রেনিং সেন্টারের সার্টিফিকেটই যথেষ্ট।

৩) প্রাইভেট ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার খোলার নিয়ম –

১) দুই চাকা বা চার চাকা গাড়ির ট্রেনিং সেন্টার খুলতে অন্তত ১ একর জমি থাকতে হবে। বড় গাড়ির ক্ষেত্রে দরকার হবে ২ একর জমির।

২) প্রাইভেট ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টারের একটি স্টিমুলেটর এবং টেস্ট ট্র্যাক থাকতে হবে।

৩) যিনি প্রশিক্ষণ দেবেন, তাঁর হাই স্কুল ডিপ্লোমা এবং অন্ততপক্ষে ৫ বছরের ড্রাইভিং এক্সপিরিয়েন্স থাকতে হবে।

৪) ট্রেনিং সেন্টারের ইনফর্মেশন টেকনোলজি এবং বায়োমেট্রিক সিস্টেম থাকতে হবে।

৫) ট্রান্সপোর্ট অথরিটির কারিকুলাম অনুযায়ী, ট্রেনিং সেন্টারটিকে হাই-কোয়ালিটি ড্রাইভিং ট্র্যাক টেস্ট করতে হবে।

৬) মিডিয়াম ও হেভি মোটর ভেহিকলসের ক্ষেত্রে অন্তত ৩৮ ঘণ্টা (৭ ঘণ্টা থিওরি এবং ৩১ ঘণ্টা প্র্যাক্টিক্যাল) ট্রেনিং চলতে পারে এবং ৬ সপ্তাহের মধ্যেই তা শেষ করতে হবে।

৪) ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন জানাতে কী কী ডকুমেন্ট দরকার –

বয়সের প্রমাণপত্র (বার্থ সার্টিফিকেট/পাসপোর্ট/প্যান কার্ড, ইত্যাদি)।

ঠিকানার প্রমাণপত্র (রেশন কার্ড/পাসপোর্ট/আধার কার্ড, ইত্যাদি)।

একটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

চারটি অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম (ফর্ম ১ এবং ফর্ম ১এ ব্যবহৃত হয় মেটিক্যাল সার্টিফিকেটের জন্য)

৫) ড্রাইভিং লাইসেন্সের ভিন্ন ধরন –

ব্যক্তিগত ও চিরস্থায়ী ড্রাইভারের লাইসেন্স

এমসি ৫০সিসি – ৫০সিসি বা তার কমের ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির মোটরসাইকেল।

কমার্শিয়াল ড্রাইভিং লাইসেন্স

ট্রেলার – হেভি ট্রেলার লাইসেন্স।

এই সব কিছুর পরে আবার রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here