শ্রেয়সী সাহা : বর্তমানে বাংলা টেলিভিশনের এক জনপ্রিয় নন-ফিকশন শো হলো ‘দিদি নম্বর 1’। বেশিক্ষন দর্শকদের আকর্ষিত করে রাখতে ইতিমধ্যে সফল  হয়েছেন সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও গোটা টিম। বর্তমানে জি বাংলায় জমে উঠেছে ‘দিদি নম্বর ১’-এর নবম সিজন। তবে এই শো-এর সঙ্গে বিতর্ক রয়েছে পুরোদমে।বহুবার অভিযোগ উঠেছে ইতিমধ্যে টিআরপি বাড়ানোর জন্য প্রতিযোগিরা মিথ্যে কথা বলে ‘সিমপ্যাথি’ পেতে চান।ফের জনরোষের মুখে রচনার শো। কেন? এই শো-এর সাম্প্রতিক এপিসোডে এমন কিছু ঘটেছে যার জেরে আইনি ঝামেলায় জড়াতে পারে টিম।

উল্লেখ্য, বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দিদি নম্বর ১ মঞ্চে খেলতে আসেন প্রতিযোগিরা। সম্প্রতি এমনি একজন প্রতিযোগী (মামন) এসেছিলেন যিনি পেশায় একজন ডিম্বাণু ডোনার। হাজার হাজার মহিলা যাঁরা মা হতে পারেন না, তাঁদের মা হতে সাহায্য করেন মামন। কীভাবে? এক আইভিএফ সেন্টারে ডিম্বাণু দান করেন মামন। যে সকল মহিলার সন্তান ধারণে সমস্যা তাঁদের ডিম্বাণু দান করেন মামন।

আইভিএফ সেন্টারে ইনজেকশনের মাধ্যমে ডোনারদের ডিম্বাশয় বড় করে তাদের থেকে ডিম্বাণু নিয়ে সেটির নিষেক ঘটিয়ে ভ্রূণকে অপর মহিলার (যিনি মা হবেন) গর্ভেই স্থাপন করা হয়। কিন্তু এটি একটি গোপনীয় প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে যিনি মা হওয়ার ইচ্ছা নিয়ে আইভিএফ সেন্টারে গিয়েছেন, তিনি কোনওদিন জানতে পারেন না কোন মহিলার ডিম্বাণু তাঁর শরীরে স্থাপন করা হচ্ছে। কারণ গোটা প্রক্রিয়াটি একটি গোপন বিষয়। টেলিভিশনের পর্দায় কেমনভাবে নিজের কাজের কথা মামন ফাঁস করল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেক নেটিজেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here