Calcutta time : শিশুদের ভালোর জন্য বছরের পর বছর ধরে অভিভাবকদের ভরসা একমাত্র পণ্য জনসন অ্যান্ড জনসন। শিশুদের পাউডার থেকে শুরু করে সাবান, শ্যাম্পু, চিরুনি যাবতীয় প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য সকলেই ভরসা করেন জনসনের পণ্যের উপরই।
তবে এবার থেকে আর পাওয়া যাবে জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি ট্যাল্ক। চলতি সপ্তাহেই মার্কিন সংস্থার তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে, বিশ্বজুড়ে তাদের বেবি ট্যাল্ক বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হবে। আগামী ২০২৩ সাল থেকে বিশ্বের কোনও দেশে আর জনসন এন্ড জনসনের বেবি ট্যাল্ক পাওয়া যাবে না। জানা গিয়েছে, এই বেবি পাউডারের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাতেই এই বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। দুই বছর আগেই আমেরিকাতে জনসনের বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধ হয়ে যায় ওই পণ্যের সুরক্ষা নিয়ে কয়েক হাজার অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর।
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়েই জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডার রমরমিয়ে বিক্রি হলেও, বহু শিশুই এই পাউডার ব্যবহারের কারণে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। শুধু আমেরিকাতেই প্রায় ৩৮ হাজার মামলা দায়ের হয়। প্রত্যেক গ্রাহকেরই দাবি ছিল এই পাউডারে অ্যাসবেসটস ব্যবহার করা হয়, যা থেকে ক্য়ান্সার ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। জনসন অ্যান্ড জনসন সংস্থার তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হলেও উপযুক্ত প্রমাণ পেশ করতে না পারায়, ২০২০ সালে তারা ঘোষণা করে যে আমেরিকা ও কানাডাতে জনসনের বেবি ট্য়াল্ক বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পণ্যের সুরক্ষা নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো ও আইনি জটিলতার কারণে বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয় সেই সময়।
জনসন অ্যান্ড জনসনের দাবি, বিগত বহু দশক ধরেই বিশ্বজুড়ে তাদের পণ্য বিক্রি ও ব্যবহার করা হচ্ছে।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা ও নিয়ামক বোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষেই এই পণ্য তৈরি ও বিক্রি করা হয়। এটি শিশুদের জন্য সম্পূর্ণ সুরক্ষিত নেই। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সংস্থার তরফে ভারতে আগামী বছর থেকে জনসনের বেবি পাউডারের বিক্রি বন্ধের ঘোষণার সময়ও একই বয়ান পুনর্ব্যক্ত করা হয়।