Calcutta time : ২০২০ লকডাউনে এক ব্যক্তিকে নিয়ে ট্রোল হয়েছিল জেলায় জেলায়। এমনকি তিনি জানতোও না যে, তার একটা কথায় তিনি এতটা ভাইরাল হয়ে যাবেন। আমরা কি চা খাবোনা? খাবো না আমরা চা? এই উক্তিটি হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সঙ্গে ছিলেন সেই ব্যক্তি মৃদুল দেব। যাকে সেদিনের পর থেকে সবাই চা কাকু বলেই চেনে। এরপর নানা ট্রোল, নানা হাসি মজার মিমও তাকে কেন্দ্র করে। মৃদুলবাবুর পরিবার , ছেলেকে লজ্জায় পড়তে হয়।
তবে, কেউ জানতো না মৃদুলবাবুর পরিবারের কথা। হঠাৎই সেই আধ পেট খেয়ে থাকা মানুষটার জীবনযাপন সোশ্যাল মিডিয়ায় আসে। সকাল বেলা চা বিস্কুট খাওয়াটা তার জন্য কেন জরুরি ছিল। সেটাও প্রকাশ্যে আসে। এরপরই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন অনেক মানুষ। এমনকি মিমি চক্রবর্তীও তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান।
উল্লেখ্য, মৃদুল দেব ২০২১ এর লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর সেই চাকেই নিজের জীবনের চালিকাশক্তি হিসেবে বেছে নিলেন। হাতে কাজ ছিল না। ২০২০ এবং ২০২১ এর ১৮ই জুলাই পর্যন্ত যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর দেওয়া চাল ডালে কোনোক্রমে সংসার চলছিল।
ছেলে বেকার। কারণ ২০২০-র ফেব্রুয়ারি মাসের পর যে ডাক্তারের চেম্বারে সে কাজ করত, সেটিও চলে যায়। তবে হাল ছাড়েননি তিনি। অবশেষে নিজের দিনমজুরির উপার্জন থেকে জমানো টাকা বিনিয়োগ করে বাড়ির পাশেই চায়ের দোকান দিলেন চা কাকু।
এছাড়াও আলাদা করে হ্যাসট্যাগ চা কাকু পেজও তৈরি হয়েছে ফেসবুকে।




