ঘুরেফিরে ট্রাম্পের নিশানায় সেই চিন।
করোনা-সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে তাঁরই দেশ। মৃত্যু হয়েছে ৫৭ হাজারের বেশি মানুষের। যার জন্য পরোক্ষে ট্রাম্পের দিকেই আঙুল তুলছেন সমালোচকেরা। যদিও তাতে কর্ণপাত না-করে ট্রাম্প দুষে চলেছেন সেই চিনকে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া থেকে রুখতে চিন কী ব্যবস্থা নিয়েছিল তা জানতে মার্কিন প্রশাসন ‘কড়া তদন্ত’ শুরু করবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ-ও জানিয়ে রাখলেন, করোনার জেরে তাঁর দেশ যে ক্ষতির মুখে পড়েছে, তার জন্য চিনের থেকে ক্ষতিপূরণ চাইবেন তাঁরা।
কোভিড-১৯ গোটা বিশ্বে প্রাণ কেড়েছে ২ লক্ষ ১৪ হাজার ৬৪৫ জনের। সংক্রমণ কমাতে লকডাউনের পথে হেঁটেছে প্রায় সব দেশই। এই অবস্থায় ইউনিসেফ আবার জানিয়েছে, করোনার জেরে টিকাকরণ ব্যাহত হবে শিশুদের। সারা বিশ্বে টিকাকরণ হয়নি বা আংশিক টিকাকরণ হয়েছে এমন ৪৫ লক্ষ শিশু দক্ষিণ এশিয়ার। এবং তাদের মধ্যে ৯৭ শতাংশের বেশি ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বাসিন্দা। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানাচ্ছে, করোনার আতঙ্কে ও লকডাউনের জেরে বহু বাবা-মা’ই শিশুদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে টিকা দেওয়াতে চাইবেন না। ফলে হাম, ডিপথেরিয়ার মতো টিকাকরণে রোখা যায় এমন অনেক রোগই ভয়ানক আকার নেবে। যা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপালের কোনও কোনও অংশে শুরু হয়েছে। সরবরাহ-শৃঙ্খল ভেঙে যাওয়ায় বিভিন্ন দেশে এই টিকার জন্য ব্যবহৃত ওষুধের সঞ্চয় একেবারে তলানিতে। স্থানীয় ভাবে উৎপাদনেও বিপত্তি ঘটছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সর্তকতা, শিশুদের এই প্রাণদায়ী টিকাকরণ না-হলে দক্ষিণ এশিয়া আর এক স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত জরুরি অবস্থার মুখে পড়বে।
লকাডাউন চলাকালীন দেশে এক মাসে ৬২ হাজার মানুষের প্রাণরক্ষা পেয়েছে বলে জানিয়েছে ফ্রান্স। অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র এক জনের সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। ব্রিটেনেও আজ নতুন কোনও মৃত্যু ঘটেনি।